প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৯ আগস্ট : সালিশী সভায় ডেকে নিয়ে গিয়ে এক হাতুড়ে ডাক্তারের উপর বর্বরোচিত অত্যাচার চালোনোর অভিযোগ উঠলে মাতব্বরদের বিরুদ্ধে । সওকত হাসান মণ্ডল ওরফে রাজু নামে ওই হাতুড়ে ডাক্তারকে বিদ্যুৎতের পোলে বেঁধে মাথা ন্যাড়া করে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হয় জুতোর মালা। সঙ্গে থাকে উত্তম মধ্যম ধোলাই। যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের পুবার গ্রামে।প্রহৃত সওকত হাসান গোটা ঘটনা সবিস্তার উল্লেখ করে আউশগ্রাম থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন । তার ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্তদের সন্ধান চালাচ্ছে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, সওকত
হাসান পুবার গ্রামেরই বাসিন্দা।হাতুড়ে চিকিৎসক হিসাবে তিনি এলাকার পরিচিত । গ্রামেই রয়েছে তাঁর চেম্বার।সওকত গ্রামের এক মহিলার সঙ্গে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে অপকর্ম করে বলে অভিযোগ তোলেন এক গ্রামবাসী। এর জন্য ওই ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীকে
নাকি বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন ।আর এইসব অভিযোগ নিয়েই সোমবার বিকালে পুবার গ্রামের কয়েকজন মাতব্বর গ্রামে সালিশীসভা বসায় । সেই সভায় উপস্থিত হওয়ায় জন্য সওকত হাসান মণ্ডল কে ডেকে পাঠানো হয়। সওকত সেখানে গেলে মাতব্বররা তার উপর চড়াও হয় । সওকতকে খুঁটিতে বেঁধে মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয় । গলাতে পরিয়ে দেওয়া হয় জুতোর মালা । পাশাপাশি চলে লাথি কিল,চড়,ঘুঁষি । শেষে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ।এই সবের ছবিও সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।তবে সালিশীসভায় এত কাণ্ড ঘটলেও মাতব্বরা বা যে মহিলার সঙ্গে সওকত খারাপ ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ সেই মহিলার স্বামীও পুলিশের কাছে কোন অভিযোগ দায়ের করেননি ।
যদিও সওকত রাতেই আউশগ্রাম থানায় গিয়ে তাঁকে মারধোরের ঘটনায় জড়িত তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন।সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সওকত এদিন দাবি করেন মিথ্যা অভিযোগ এনে তাঁর উপর অতচার চালানো হয়েছে । পুলিশ সময়মতো না পৌছালে তিনি খুন হয়ে যেতে পারতেন ।গ্রামের কয়েকজন প্রবীণ বাসিন্দাও মাতব্বরদের এই তুঘলকি কাজ কারবারের নিন্দা করেছেন ।।