এইদিন ওয়েবডেস্ক,দোহা,২৮ নভেম্বর : ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২২ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চকে কিভাবে ধর্মপ্রচারের জন্য ব্যবহার করা যায় তা দেখিয়ে দিল মুসলিম রাষ্ট্র কাতার । উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরান তেলাওয়াতের আয়োজন করা হয়েছিল । পাশাপাশি ইসলামি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া এবং বিশ্বকাপ দেখতে আসা বিদেশীদের ধর্মান্তরিত করার প্রক্রিয়াও চালিয়ে যাচ্ছে ওই দেশটি । এখন কাতারের দেখানো পথে হেঁটে ভারতও কি পারবে ২০২৩ সালের অক্টোবর নভেম্বরে হতে চলা এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের মঞ্চকে হিন্দু ধর্ম প্রচারের জন্য ব্যবহার করতে ? ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে ভারত কি বিশ্ববাসীকে শোনাতে পারবে পবিত্র বেদ বা উপনিষদের বাণী ?
গত ২০ নভেম্বর ২০২২ ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপের ২২তম আসরে হলিউড অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যানের সঙ্গে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন ঘানিম আল মুফতাহ । শুধু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই নয়, কাতারজুড়ে মুসলিমদের নবীর বাণী, ইসলামি শিক্ষার ব্যানার লাগানো হয়েছে ৷ এছাড়া বিদেশী দর্শক এবং খেলোয়াড়দের মধ্যে ইসলামের বার্তা ছড়িয়ে দিতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পরিকল্পনা । তার মধ্যে বিদেশিরা যাতে ইসলামের শিক্ষা নিতে পারে সেই কারনে হোটেলের প্রত্যেক ঘরে একটি বারকোড রয়েছে । স্টেডিয়ামে মাইক্রোফোন রাখা হয়েছে । নিয়িমিত আজান পড়া হচ্ছে সেখানে । ইসলাম ধর্মকে তুলে ধরতে কাতার গেস্ট সেন্টার বিদেশীদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে । এছাড়া বিভিন্ন ভাষায় আওকাফ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইসলামিক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে । স্টেডিয়ামে নামাজের জায়গা এবং অজুর জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
ফুটবল বিশ্বকাপের মত একটি জমকালো ইভেন্টকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বেছে নেওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষকে কাতারের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল । কিন্তু এনিয়ে এযাবৎ মুখ খোলেনি ফিফা । এখন আগামী বছর ভারতে হতে চলা একদিনের বিশ্বকাপের মঞ্চকে যদি সনাতন ধর্ম প্রচারের জন্য বেছে নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে বিশ্বের দেশগুলির ভূমিকা কি হয় সেটাই দেখার ।।