এইদিন ওয়েবডেস্ক,মস্কো,২৪ জুন : রাশিয়ায় অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ নতুন দিকে মোড় নিয়েছে । এবারে ‘বিদ্রোহী’ ইয়েভজেনি প্রিগোজিনর বিরুদ্ধে চেচেন সেনাপ্রধান ‘বন্ধু’ রমজান কাদিরভকে কাজে লাগালেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন । কাদিরভ ঘোষণা করেছে যে তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষে যুদ্ধে যাবে । রমজান কাদিরভ এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন । তিনি বলেছেন, ‘তিনি এবং তার সেনাবাহিনী ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নেতৃত্বাধীন ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী ওয়াগনারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রস্তুত। তারা বিদ্রোহ দমনে সাহায্য করার জন্য সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে কঠোর পদ্ধতি ব্যবহার করবেন। রমজান কাদিরভও প্রিগোজিনের আচরণকে “পিঠে ছুরি মারা” বলে সমালোচনা করেছেন এবং রাশিয়ান সৈন্যদের প্রিগোগিনের “উস্কানিতে” আত্মসমর্পণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন ।
চেচেন যুদ্ধের ২০ বছর পর রাশিয়া এই প্রথম সশস্ত্র বিদ্রোহের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে । ইয়েভজেনি প্রিগোজেনির ওয়াগনার মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সশস্ত্র যোদ্ধারা ইউক্রেনের সীমান্তের কাছাকাছি দশ লাখেরও বেশি মানুষের শহর রোস্তভ-অন-ডনের রাস্তার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে । এদিকে রোস্তভ-অন-ডনে রয়েছে রাশিয়ান সামরিক সদর দফতর । যেখান থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করছে রুশ বাহিনী ।
প্রিগোজিনের অভিযোগ মূলত রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই ও শোইগুর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভের বিরুদ্ধে । তার অভিযোগ, ওয়াগনারের কনভয়গুলির হামলা চালানোর জন্য রুশ যুদ্ধবিমানগুলিকে কাজে লাগিয়েছিলেন গেরাসিমভ । একটি ভিডিও বার্তায় ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেন,’গেরাসিমভের নির্দেশে ইউক্রেনের ওয়াগনার ফিল্ড ক্যাম্পগুলি রকেট,হেলিকপ্টার গানশিপ এবং আর্টিলারি দ্বারা আঘাত করা হয়েছিল । রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুর সাথে রোস্তভে একটি বৈঠকের পরে তারা ওয়াগনারকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।’ প্রিগোজিন বলেছিলেন যে তার নেতৃত্বে তার ২৫,০০০ সৈন্য রয়েছে এবং তিনি সশস্ত্র বিদ্রোহ করে শোইগুকে শাস্তি দেবেন এবং সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধ না করার জন্য অনুরোধ করে বলেন,’এটি একটি সামরিক অভ্যুত্থান নয়, তবে ন্যায়বিচারের মার্চ ।’।