কেউ যদি পাঞ্জাবে যান তাহলে তিনটি জিনিসের প্রাচুর্য লক্ষ্য করবেন । প্রথমতঃ, গুরুদ্বার… দ্বিতীয়তঃ, চার্চ এবং তৃতীয়তঃ,আইইএলটিএস সেন্টার । এখানে অনেক খোঁজাখুঁজির পর তবে হয়ত একটা বা দুটো মন্দির দেখতে পাবেন। যদিও গুরুদ্বারগুলিও হিন্দু মন্দিরের পর্যায়ভুক্ত, তবে এটি উদ্বেগের বিষয় যে বড় বড় গির্জাগুলি প্রতিটি রাস্তায় এবং এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো বেড়ে উঠছে পাঞ্জাবে ।শিখ অধ্যুষিত পাঞ্জাবে গুরুদ্বার থাকা একটি সাধারণ বিষয় এবং সেখানে থাকাও উচিত, কিন্তু চার্চ যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। তৃতীয় বিষয় হল প্রতিটি গ্রামে আইইএলটিএস সেন্টার এবং ভিসা প্রদানকারী সংস্থা রয়েছে। এই আইইএলটিএস কি তা সবারই জানা উচিত। আসলে এগুলি ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা করার জন্য, যাতে লোকেরা বিদেশের ভিসা সহজেই পেতে পারে।
পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে এটা বললে অত্যুক্তি হবে না যে পাঞ্জাবের লোকেরা সন্তান উৎপাদন করে যাতে তাদের বিদেশে পাঠানো যায় বা ছেলেমেয়েরা পাঞ্জাবে জন্ম নেয় বিদেশে গিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য । পাঞ্জাবের যে কোনো গ্রামে গেলে একটা কথা সাধারণ বিষয় হলো যে এখানকার গ্রামগুলোকে গ্রাম বলে মনে হয় না। এত বড় বড় অট্টালিকা আর বাড়ি যে বড় নেতাদের বিলাসবহুল প্রাসাদ বা অমিতাভ বচ্চনের বাংলোকেও হার মানাবে ! পাঞ্জাবিদের বাড়িগুলো এতটাই বিলাসবহুল, প্রতিটি বাড়িতে কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ টা ঘর । তাদের মূল্য ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার কম হবে না। গ্রামের একটি ছোট ঘরের দামও ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার নিচে হবে না।
কিন্তু এটা জেনে বিস্মিত হবেন যে সব ঘর তালাবদ্ধ। সব খালি পড়ে আছে। কানাডা বা অন্যান্য বিদেশ থেকে উপার্জিত অর্থ পাঠানো হয় শুধু দেখানোর জন্য যে আমরা আমাদের প্রতিবেশীর চেয়ে কম নই। গ্রামে, বড় বড় বাড়িগুলি তাদের অহংকার এবং জাঁকজমক দেখানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে, কিন্তু সেখানে কেউ বসবাস করে না।
বিহারী বা উত্তরপ্রদেশের একজন শ্রমিককে সেই বাড়িগুলির দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এমন অনেক সম্পত্তি আছে যা ২০-২০ বছর ধরে কেউ দেখতে আসেনি। তিনি হয়তো বিদেশে মারাও গেছেন। কিন্তু ২০ টি ঘর বিশিষ্ট বাড়ি থাকার মানে কি? পাঞ্জাবিরা নিজেদের অহংকার এবং অর্থ দেখানোর জন্য চাষের জমি ধ্বংস করেছে, যা তাদের কোন কাজে আসবে না গ্রামগুলি কেবল গ্রামে বসে আছে। সেখানে ছেলেদের দেখা যায় না।
তবে পাঞ্জাবকে সবচেয়ে বিষাক্ত করে দিচ্ছে চার্চ ও খ্রিস্টান মিশনারিরা। তারা সকল দলিতদের হিন্দু ধর্মের প্রতি বিষিয়ে তুলে তাদের দাস বানিয়েছে। অশিক্ষিত গ্রামবাসী এক বস্তা চাল আর মদ বিক্রি করে নিজেদের ইজ্জত-সম্ভ্রম পর্যন্ত বিক্রি করে ! তাদের যদি বুদ্ধি থাকত তাহলে এত চার্চ গজাত না। আমি যখন ট্যাক্সিতে যাচ্ছিলাম, দেখলাম সর্দারজী গাড়িতে একটা ক্রস ঝুলিয়ে রেখেছেন। গির্জার লোকেরাও তাদের বাইরে পাঠানোর জন্য অর্থ দেয়। তারা তাদের বোকা বানিয়ে চড়া দামে তাদের জমি কিনে তাতে গীর্জা তৈরি করে। পাঞ্জাবের আচার-অনুষ্ঠানের অর্ধেকেরও বেশি মুসলমানদের অনুরূপ। নারীদের কখনোই কপালে সিঁদুর-টিপ দেখতে পাওয়া যায় না। এমনকি তাদের ভাষা সম্পূর্ণরূপে উর্দু দ্বারা আবৃত। মাদক,মদ এবং মাংস সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয় পাঞ্জাবে। খাঁটি নিরামিষ রেস্তোরাঁর খোঁজ করা বাতুলতার নামান্তর । এটা খুবই দুঃখজনক যে এই সেই পাঞ্জাব যেখানে আমাদের গুরুরা তাদের সন্তানদের বলি দিয়েছিলেন যাতে তাদের সংস্কৃতি টিকে থাকে! যদি পাঞ্জাবের এই অবস্থা হয়, তাহলে শীঘ্রই খ্রিস্টান মিশনারিরা এখানে পুরোপুরি দখল করে নেবে। এখানে অনেক টাকা আছে কিন্তু দেশের উন্নয়নে সেই টাকার কোনো অবদান নেই। এই টাকা দিয়ে শুধু গীর্জা তৈরি করা হচ্ছে আর খ্রিস্টান মিশনারিরা এখানে টাকা কামাচ্ছে। মনে হচ্ছে এখানে হিন্দুত্বের কোনো চিহ্ন নেই।
তাই এখানে বিজেপি কখনও জিততে পারে না, হ্যাঁ আম আদমি পার্টি(AAP) এবং কংগ্রেস অবশ্যই জিততে থাকবে । কৃষকদের দাবি আদায়ের নামে কেন্দ্র সরকারের উপর শিখ কৃষকরা যে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টির খেলায় মেতেছে, সেটা সম্পূর্ণ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যৌথ ষড়যন্ত্রের অঙ্গ । কারন আন্দোলনের নামে উৎপাত কৃষকদের কেউই হতদরিদ্র নয়,বরঞ্চ তারা যথেষ্ট সম্পন্ন পরিবারের । আসলে দেশকে অস্থির করতে তাদের মোহরা হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ।।