প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৩ জানুয়ারী : ’হিট এন্ড রান’ অর্থাৎ ধাক্কা মেরে পালিয়ে যাওয়া সংক্রান্তর কেসের ক্ষেত্রে কড়া আইন জারি করেছে কেন্দ্রের সরকার।আর নতুন এই পরিবহন আইন জারি হওয়ার খবর প্রকশ্যে আসতেই শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যানবাহন চলকরা।তারা বুধবার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন।সেই ধর্মঘটের দিনেই অধর্মের চিত্র ধরা পড়লো পূর্ব বর্ধমানের রায়নার খালেরপুলে বর্ধমান – আরামবাগ রোডে। ধর্মঘট অমান্য করে গাড়ি চালানোয় সরকারী বাসের চালক সহ অন্য কয়েকজন চালকে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে দিয়ে হাতে গোলাপ ফুল ধরিয়ে দিয়ে মিষ্টি মুখ করানো হয়।যা দেখে স্তম্ভিত হয়েযান বাসের যাত্রী থেকে শুরু করে পথচারীরা।
বিনা নোটিশে হঠাৎতই ধর্মঘটীরা ধর্মঘটের সমর্থনে
পথে নেমেপড়ায় এদিন সকাল থেকেই জেলাজুড়ে বাস চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায় । চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষজন।জেলার কালনা, কাটোয়া,গুসকরা, রায়না, জামালপুর, গলসি ও খণ্ডঘোষ রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ,স্কুল কলেজের পড়ুয়া সবাই বিপাকে পড়েন। ট্রাক চালকদের ডাকা ট্রাক ধর্মঘট এদিন উঠে গেলেও বাস চালকরা কার্যত বিনা নোটিশ বাস ধর্মঘটে সামিল হন। এতে সকাল থেকেই বাস ধরতে আসা সাধারণ মানুষজন দীর্ঘক্ষণ বাস স্ট্যাণ্ডে অপেক্ষা করেন।কিন্তু তারা প্রথমে বুঝতে পারেন নি কি কারণে বাস চলাচল করছে না।এমনকি বর্ধমান শহর শহরতলির টাউন সার্ভিস বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। দু’একটা হাতে গোনা বাস চলাচল করে শহরে।বেশীরভাগ বাসই সকাল থেকে রাস্তায় নামে নি।বাস না পেয়ে সাধারণ মানুষজন অগত্যা বেশী ভাড়া দিয়ে অন্য যানবাহনের মাধ্যমে গন্তব্যে পৌঁছান।
অল ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সেখ বাবু বলেন,’কেন্দ্রীয় সরকারের পরিবহন নীতির বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদে সরব হয়েছি।এই ভাবে গাজোয়ারি করে নীতি লাগু করা হলে আমরা আগামী দিনেও পথে বসবো”। আর জেলা বাস এ্যাসোশিয়েশনের কর্তা জানকী রঞ্জন সিনহা বলেন, আমরা জানতাম না যে আজ বাস চলাচল করবে না।বাস চালকরা কেউ বাস না চালানোয় বাস আজ রাস্তায় নামে নি।তবে যে আইন চালু হচ্ছে তাতে চালকরা সমস্যায় পড়বেন। কেউ তো আর ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। জেলায় বিভিন্ন রুটে ৮০০ বাস চলে।কিন্তু বুধবার কোন রুটেই কোন বাস চলে নি বলে জানকীবাবু দাবি করেন। এক বাসচালক গৌতম দাস বলেন, “এই আইন সম্পূর্ণ আমাদের বিপক্ষে। তাই আমরা প্রতিবাদে আজ বাস চালাচ্ছি না।এই আইন প্রত্যাহার করতে হবে ।’।