প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,০৩ নভেম্বর : পথের হাল ফেরানোর দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো বাংলায় নতুন কোন ঘটনা নয়। তবে পথের হাল ফেরানোর দাবিতে গোটা পথ আড়াআড়ি করে কেট দেওয়া কার্যতই নজিরবিহীন ।সেটাই রবিবার করেন বর্ধমান-২ নম্বর ব্লকের সোনাপলাশী গ্রামের ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। ত নিয়ে হুলস্থুল পড়ে যেতেই ক্ষুব্দ গ্রামবাসীদের ক্ষোভ সামাল দিতে সোনাপলাশী গ্রামে ছুটে যান ব্লকের বিডিও ,ওসি এবং পঞ্চায়েত প্রধান । তবে অবশ্য চিঁড়ে ভেজেনি।
রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভে ফুঁষছিলেন কুড়মুন-২ গ্রাম পঞ্চায়েতেরর অন্তর্গত সোনাপলাশী গ্রামের বাসিন্দারা।রাস্তার হাল ফেরানোর দাবিতে বারেবারে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের কাছে দরবার করেছিলেন। তবুও রাস্তা সারাই হয় নি।এমন অবস্থায় ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে সোনাপলাশী গ্রামের বাসিন্দাদের।তারই বহিপ্রকাশ ঘটে রবিবার দুপুরে।গ্রামের ছেলে,বুড়ো ও মেয়েরা শাবল,কোদাল হাতে নিয়ে নেমে পড়েন। তারা আড়াআড়ি করে খুঁড়ে ফেলেন গোটা রাস্তা।তা দেখে সকলেই বলছেন মানুষের ক্ষোভ বাঁধ না মেনে রাস্তায় নেমে এলে যা হয়, সোটাই হয়েছে।
গ্রামবাসীদের অসীমা মাঝি ও জয়ন্তী নাগ বলেন, ‘আমাদের এলাকার রাস্তার হাল বেহাল হয়েছে অনেকদিন আগেই। স্থানীয় আদিবাসী পাড়া ও ধর্মতলা , দুই জায়গার রাস্তাই খুব খারাপ।গ্রামে কোনো মেয়ে সন্তানসম্ভবা হলে তাকে কাঁধে করে রাস্তা পার করতে হয়। স্কুল বা অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলে যেতে পড়ুয়াদের কষ্টের সীমা থাকে না। পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরুকরে পুলিশের অফিসার বারবার শুধু আশ্বাস দিয়ে গেছেন। আজ,নয় কাল করে তারা কেবল কালক্ষেপ করা চলছে।’ তাই তারা রবিবার সোনাপলাশী গ্রামের প্রবেশের রাস্তাটি কেটে বিক্ষোভের পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন ।
রাস্তা কেটে দিয়ে গ্রামবাসীরা সারা দিন বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে দফায় শক্তিগড় থানার ওসি ও বিডিও বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী দফায় দফায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান। অনেক টানাপোড়েনের গ্রামবাসীরা সন্ধ্যায় প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে । যত দ্রুত সম্ভব
বেহাল রাস্তার হাল ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে, এই আশ্বাস মেলার পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নিলেও রাস্তা কিন্তু কাটাই রয়ে থাকে ।
এ নিয়ে বিডিও বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী এবং প্রধান বাসুদেব দে জানান,আদিবাসী পাড়া ও ধর্মতলা এই দুটি জায়গায় রাস্তা হবে। জেলা পরিষদের থেকে ইতিমধ্যেই এই রাস্তার ভেটিং হয়ে গেছে। এই সংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় একটু সময় লাগে। সেগুলি হলেই ইতিবাচক অবস্থা তৈরি হবে। টেন্ডারও হবে । বিডিও স্বীকার করেন,কিছু রাস্তা সত্যি খারাপ। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের কাজ করার চেষ্টা করা হবে বলে বিডিও জানিয়েছেন।।

