আজিজুর রহমান,বর্ধমান,২৭ জুলাই : ‘ইকো ট্যুরিজম সেক্টর’ গড়ার প্রস্তাব পেয়ে মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের গলসির ভরতপুর এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলপন বন্দ্যোপাধ্যায় । এলাকা পরিদর্শনে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন গলসি-১ ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস, পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় ও স্থানীয় চাকতুঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রধান অশোক ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা এলাকা পরিদর্শনে আসায় বেজায় খুশি গলসি-১ ব্লক প্রশাসনের কর্তারা । তাঁদের প্রত্যাশা,ভরতপুরে ’ইকো ট্যুরিজম সেক্টর’ গড়ার ব্যাপারে খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়া যাবে।
গলসি-১ পঞ্চায়েত সমিতি সহ-সভাপতি অনুপ চট্টোপাধ্যায় বলেন,চাকতেঁতুলে গ্রাম পঞ্চায়েতের ভরতপুরে ’ইকো ট্যুরিজম সেক্টর’ গড়ার জন্য তারা রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠান । সেই প্রস্তাব পেয়ে এদিন চাকতেঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েতের ভরতপুর এলাকার জমি ও বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ।
অনুপ বাবু বলেন,’ভরতপুর এলাকায় বহু পুরাতন বৌদ্ধ স্তুপ রয়েছে। এছাড়াও এলাকায় রয়েছে দামোদর নদে রনডিহা ব্যারেজের মনোরম সৌন্দর্য্য । যা দেখতে প্রায় প্রতিদিনই বহু মানুষ সেখানে ভীড় জমান। এছাড়াও এলাকায় রয়েছে বুজে যাওয়া গাঙ্গুর নদীর পাশের ’কসবা’ গ্রাম।যার উল্লেখ রয়েছে মনসামঙ্গল কাব্যে । ওই জায়গায় রয়েছে চাঁদ সওদাগরের শিব মন্দির ও বেহুলা লক্ষ্মীন্দরের স্মৃতি বিজড়িত লোহার বাসর ঘর । কালক্রমে লোহার ঘরটি বিলুপ্ত হয়ে গেলেও চাঁদ সদাগরের সেই শিব মন্দির আজও তদানিন্তন কালের ঐতিহ্যের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে । এইসব কিছুই যুগ যুগ ধরে এলাকার পৌরাণিক ইতিহাসকে ধরে রেখেছে । তাই এমন ইতিহাস প্রসিদ্ধ জায়গায় পর্যটক আকর্ষণ বাড়াতে ’ইকো টুরিজম সেক্টরের ’ গড়ার প্রস্তাব রাজ্য সরকারকে পাঠানো হয়েছিল ।’
বিডিও ও পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি দু’জনেই আশাবাদী ’ইকো ট্যুরিজম সেক্টর’ গড়ার ব্যাপারে রাজ্য সরকার সবুজ সংকেত দেবে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও এদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করেননি ।।