এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১৬ মার্চ : ‘পিরিতে মজিলে মন……’ সব হুঁশ হারিয়ে ফেলে প্রেমিক-প্রেমিকারা । তবে সব প্রেমের অভিজ্ঞতা বিশেষ সুখকর হয় না…অনেক সময় তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখিও হতে হয় । দক্ষিণ কলকাতার বেহালার এক প্রোমোটার এমনই একটি অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন যা তিনি আমৃত্যু ভুলতে পারবেন না ।
আসলে ওই প্রোমোটার মদিরা পানের নেশা ছিল । প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে কলকাতার শেক্সপিয়র সরণির একটি পানশালায় গিয়ে মদ্যপান করতেন তিনি । সেখানেই এক ‘সুন্দরী’র দেখা পান প্রোমোটার । ওই সুন্দরীরও নিয়মিত মদ্যপানে নেশা ছিল । নিজের টেবিলে বসে মদ্যপান করতে করতে প্রোমোটার তাকে আড়চোখে দেখতেন । সুন্দরীর রূপে মজে গিয়েছিলেন তিনি । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক প্রকার নিজে যেচেই তার সঙ্গে আলাপ করেন প্রোমোটার । মদ্যপান করতে করতে দুজনার মধ্যে গভীর রাত পর্যন্ত গল্পগুজব চলে । মদের নেশায় প্রোমোটার ওই সুন্দরের গলার স্বরের মধ্যে অসংঙ্গতিও খেয়াল করেননি এবং তিনি বুঝতে পারেননি যে কি ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে চলেছেন ।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে,রাত প্রায় দুটো নাগাদ সুন্দরী বাড়ি যাওয়ার কথা বলেন । প্রোমোটার তাকে নিজের গাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিলে সুন্দরী তা গ্রহণ করেন । প্রোমোটারের চালক নিউ আলিপুরের নির্জন রাস্তায় এলে গাড়ি দাঁড় করাতে বলেন সুন্দরী । কিন্তু সেখানে গাড়ি দাঁড়াতে পিছন থেকে আরেকটি গাড়ি আছে দাঁড়িয়ে যায় । আর সেই গাড়ি থেকে হুড়মুড়িয়ে নেমে পড়ে বেশ কয়েকজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ । তারা প্রোমোটারকে ধরে লুটপাট চালায় । ব্যবসায়ীর গলায় থাকা প্রায় তিন ভরির হার লুঠ করে চম্পট দেয় তারা । ঘটনার আকস্মিকতায় কার্যত নেশা ছুটে যায় প্রোমোটারের । তিনি বুঝতে পারেন যে পানশালার ওই সুন্দরী আদপের তৃতীয় লিঙ্গের । এরপর তিনি সোজা নিউ আলিপুর থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।
জানা গেছে, অভিযোগ পাওয়ার পরেই সিসিটিভি ফুটেজ এর সূত্র ধরে ঘটনা তদন্ত শুরু করে পুলিশ । তখন পুলিশ জানতে পারে যে এই কান্ডটি ঘটিয়েছে কলকাতার ট্রান্সজেন্ডার গ্যাং । পুলিশ ওই চক্রের মূল পান্ডা পিঙ্কিকে পানিহাটি থেকে পাকড়াও করে প্রোমোটারের গলার হারটি উদ্ধার করে । বর্তমানে চক্রের বাকি সদস্যদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ।।