এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৯ ডিসেম্বর : ডিএমকে সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশনে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারক জি.আর. স্বামীনাথনের বিরুদ্ধে অভিশংসনের জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর, ২০২৫), ১২০ জন ইন্ডি ব্লকের সাংসদ স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ লোকসভা স্পিকারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে ।
বিচারপতি স্বামীনাথনের বিরুদ্ধে অভিশংসনের দাবি জানানো হয়েছিল নোটিশে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব সহ ১২০ জন সাংসদ এই নোটিশে স্বাক্ষর করেছেন। ডিএমকে-র নেতৃত্বে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।
তামিলনাড়ুর তিরুপারঙ্কুন্দ্রমে একটি পাহাড়ের চূড়ায় ঐতিহ্যবাহী কার্তিগাই দীপম প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি দেওয়া মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়ের পর এই অভিশংসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। তিরুপারঙ্কুন্দ্রমে একটি মন্দির এবং কাছেই একটি দরগা রয়েছে, যেখানে বিচারক এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
এদিকে,ইন্ডি জোটের এই প্রকার হিন্দু বিদ্বেষী মানসিকতার তীব্র সমালোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় । ইন্ডি জোটের প্রধান শরিক কংগ্রেসকে অনেকে “আধুনিক মুসলিম লীগ” ও “মাওবাদী কংগ্রেস” বলে অবিহিত করছেন । তামিলনাড়ুর প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই ইন্ডি জোটের তীব্র সমালোচনা করেছেন । তিনি এক্স-এ লিখেছেন, ‘যদি আলোচনার মূল লক্ষ্য হিন্দু-বিরোধী পরিচয় তুলে ধরা হয়, তাহলে I.N.D.I. জোটের সাংসদরা এটিকে সম্মানের তকমা হিসেবে ব্যবহার করেন। সাংবিধানিক অধিকারের সমস্ত উচ্চস্বরে আলোচনা এই গোষ্ঠীর জন্য বাগাড়ম্বর ছাড়া আর কিছুই নয়। এবং এখন, তামিলনাড়ু ডিএমকে সরকারের মাননীয় সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের করা সত্ত্বেও, একজন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব আনা, সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতিকে উৎসাহিত করার একটি মরিয়া প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ করে না ।’ তিনি আরও লিখেছেন,’এই রাজনৈতিক নাটকের উদ্দেশ্য কী, কেবল এই ইঙ্গিত দেওয়া ছাড়া যে আইনের শাসন ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির চেয়ে গৌণ? তারা কি আমাদের দেশে এই বার্তাও পাঠাচ্ছে যে যদি আই.এন.ডি.আই. জোট কোনও বিচারকের রায় পছন্দ না করে, তাহলে তারা বিচার বিভাগকে আত্মসমর্পণের হুমকি দেওয়ার জন্য অভিশংসন প্রক্রিয়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবে? সংবিধানের জন্য এর চেয়ে বড় হুমকি আর কী হতে পারে? আমাদের দেশের জনগণের জন্য, ডিএমকে এবং আই.এন.ডি.আই. জোট আবারও প্রমাণ করেছে যে তাদের কাছে বিভাজনমূলক রাজনীতিই প্রথম।’।
