এইদিন ওয়েবডেস্ক,আহমেদাবাদ,৩০ ডিসেম্বর : গুজরাটের আহমেদাবাদের ইউএন মেহতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন ।হিরাবা চলতি বছরের ১৮ জুন ১০০ বছর পূর্ণ করেছেন । গত ২ দিন ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন । মায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বুধবার হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন । বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের ইউএন মেহতা হাসপাতালে মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল তাঁর স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার সকালে তিনি দুঃখজনকভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। টুইট করে নিজেই মায়ের মৃত্যু সংবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘গৌরবময় একটি শতাব্দী এখন ঈশ্বরের পায়ের কাছে ।’
১৯২৩ সালে গুজরাটের মেহসানা জেলার ভিসনগরে জন্মগ্রহণ করেন হীরাবেন । নরেন্দ্র মোদী ১৮ জুন নিজের পুরনো স্মৃতি ব্লগ লিখে বিশ্বের সাথে শেয়ার করেছিলেন । তিনি লিখেছেন, ‘ভাদনগরে আমাদের পরিবার একটি ছোট বাড়ি ছিল যেখানে একটি জানালাও ছিল না। আর টয়লেট বা বাথরুমের মতো বিলাসিতার কথা ছেড়েই দিন ।’ মোদি তাঁর মাকে সময়নিষ্ঠ, পরিপাটি এবং কঠোর পরিশ্রমী হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘কাজ করার সময়, তিনি তার প্রিয় ভজন এবং স্তুতিগান গাইতেন।’ তিনি লিখেছেন, ‘আমার মা যতটা সহজ, ততটাই অসাধারণ। ঠিক সব মায়ের মতোই।’
হীরাবেন কখনোই সরকারি কোনও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি উল্লেখ করে নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, তিনি তার সাথে শুধুমাত্র দু’টি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। যার দ্বিতীয়টি ছিল ২০০১ সালে, যখন তিনি প্রথমবার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ।মোদি লিখছেন, ‘তারপর থেকে, তিনি কখনও আমার সাথে আর কোনও সরকারি অনুষ্ঠানে যাননি।’
নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেও মা হীরাবেন দুই বছর পরে দিল্লিতে তাকে দেখতে আসেন। মোদি তার অফিসিয়াল বাসভবনের চারপাশে মাকে দেখানো নিজের ছবি টুইট করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন,’মা, এটা শুধু একটা কথা নয়। এই জীবনের স্নেহ, ধৈর্য, বিশ্বাস, এমন অনেক কিছু অনুভূতি যার মধ্যে রয়েছে তিনি হলেন মা । পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে হোক, যে কোন দেশই হোক, প্রতিটি সন্তানের হৃদয়ে সবচেয়ে মূল্যবান স্নেহ মায়ের জন্য । মা, শুধু আমাদের শরীর তৈরি করে না, আমাদের মন, আমাদের ব্যক্তিত্ব, আমাদের আত্মবিশ্বাসও গড়ে তোলে। এবং তার সন্তানদের জন্য এটি করতে গিয়ে সে নিজেকে গ্রাস করে, নিজেকে ভুলে যায়।’।