এইদিন ওয়েবডেস্ক,নিউ দিল্লি,০১ আগস্ট : বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী সংস্থা ইউনাইটেড নেশন সিকিউরিটি কাউন্সিল (ইউএনএসসি)-এ সভাপতিত্ব করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । ভারতের কার্যকাল হবে এক মাসের । এই বিষয়ে জাতিসংঘে ভারতের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হবেন প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি UNSC সভায় সভাপতিত্ব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । বিগত ৭৫ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এই প্রথমবারের আমাদের দেশের কোনও রাজনৈতিক নেতৃত্ব UNSC-র সভায় সভাপতিত্বে আগ্রহ দেখিয়েছে । এতেই প্রমান হয় যে, আমাদের নেতা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চান । এটাও দর্শায় যে,ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্ব পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে কতটা দৃ়ঢ়ভাবে কাজ করেছেন ।’
এদিকে নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের হাতে কমান্ড চলে যাওয়ায় ভয় ধরে গেছে পাকিস্তান ও চীনের । তাদের আশঙ্কা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সামনে তাদের ভাবমূর্তি না নষ্ট করে দেয় ভারত । এরই মধ্যে শনিবার পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রণালয় ট্যুইট করে জানিয়ে, তাঁদের আশা ভারত তার কার্যকালে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে । পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের প্রবক্তা জাহিদ হাফিজ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা আশা করব ভারত তার সময়কালের মধ্যে যথাযথ নিয়ম মেনে কাজ ।’ পাশাপাশি তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এভারতের সভাপতিত্ব করার ফলে UNSC তে আর জম্মু-কাশ্মীরের প্রসঙ্গ তুলতে পারবে না পাকিস্তান ।
ভারতের প্রথম কর্মদিবস শুরু হবে সোমবার ২ আগস্ট । পয়লা জানুয়ারী থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে দু’বছরের মেয়াদ শুরু করে ভারত । জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারতের এটি অষ্টম মেয়াদ । এর আগে ভারত ১৯৫০-৫১, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭২-৭৩, ১৯৭৭-৭৮,১৯৮৪-৮৫ ও ১৯৯১-৯২-এ ইউনাইটেড নেশন সিকিউরিটি কাউন্সিলের অস্থায়ী সদস্য ছিল । এই সময় কালের মধ্যে একাধিক বার রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকগুলি পরিচালনার ভার ভারতের হাতে পড়লেও একবারও সভাপতিত্ব করেননি ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী । একমাত্র নরেন্দ্র মোদীই ইউএনএসসির সভায় সভাপতিত্ব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । এছাড়া রাষ্ট্রপুঞ্জের একাধিক জরুরি বিভাগের বৈঠকে সভাপতিত্ত্ব করার কথা রয়েছে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার ।
ভারতের বিদেশমন্ত্রী ডঃ এস জয়শঙ্কর বলেন, ‘ভারত তার কার্যকালের মধ্যে অন্য সদস্য দেশগুলির সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে । ভারত সবসময় সংযমের কণ্ঠস্বর, সংলাপের প্রবক্তা এবং আন্তর্জাতিক আইনের সমর্থক ছিল ও থাকবে ।’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রথম কর্মদিবস হবে ২ আগস্ট সোমবার । ভারত তার সময়কালের মধ্যে সমুদ্র নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা ও সন্ত্রাস দমনের মত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে প্রাধান্য দেবে ।।