এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,০৭ অক্টোবর : ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলার খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাশে থাকার বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । তিনি ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে লিখেছেন,’ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলার খবরে গভীরভাবে মর্মাহত। আমাদের চিন্তাভাবনা এবং প্রার্থনা সন্ত্রাসবাদের শিকার নিরীহ মানুষ এবং তাদের পরিবারের সাথে রয়েছে। এই কঠিন সময়ে আমরা ইসরায়েলের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি ।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের পর, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়েছেন৷ মেলোনি সরকার বলেছেন যে এই নৃশংস হামলার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করা এখন ইসরায়েলের অধিকার৷ ইতালি সরকার বলেছে যে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলমান সন্ত্রাস ও সহিংসতার নিন্দা করে ।
পাশাপাশি এএনআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী টর ওয়েনেসল্যান্ড বলেছেন,’আমি গাজার কাছে ইসরায়েলি শহর ও শহরগুলির বিরুদ্ধে বহুমুখী আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানাই এবং হামাস জঙ্গিদের দ্বারা মধ্য ইসরায়েল জুড়ে বেসামরিক মানুষকে লক্ষ্য করে জঘন্য রকেট হামলা অবিলম্বে থামাতে হবে…।’
আজ নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন,’আজ সকাল থেকে ইসরায়েল রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য হল আমাদের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী শত্রু শক্তিগুলিকে নির্মূল করা এবং যাদের আক্রমণ করা হয়েছে তাদের নিরাপত্তা ও শান্তি পুনরুদ্ধার করা । দ্বিতীয় উদ্দেশ্য, একই সময়ে, গাজা স্ট্রিপের মধ্যেও শত্রুদের কাছ থেকে একটি বিশাল মূল্য আদায় করা। তৃতীয় উদ্দেশ্য হল অন্য ফ্রন্টকে শক্তিশালী করা যাতে কেউ ভুল করে এই যুদ্ধে যোগ না দেয় । আমরা এখন যুদ্ধের মধ্যে আছি । আর যুদ্ধে সকলকে এক হতে হয়। আমি ইসরায়েলের সকল নাগরিককে আমাদের সর্বোচ্চ লক্ষ্য – যুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি ।’
অন্যদিকে কোনো ইসলামি রাষ্ট্র এখনো পর্যন্ত ইসরায়েলে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে মুখ খোলেননি । কিন্তু হামাস সন্ত্রাসী সংগঠনের ইসরায়েলে হামলার পর ফিলিস্তিনে উদযাপন করতে দেখা গেছে ইসলামি কট্টরপন্থীদের । এদিকে ইসরায়েল অপারেশন আয়রন সোর্ডস তীব্রতর করেছে । ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার লক্ষ্যে তৃতীয় গাজা টাওয়ার ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলের বিমানবাহিনী ।।