এইদিন ওয়েবডেস্ক,নরসিংহপুর(মধ্যপ্রদেশ),২৯ মার্চ : প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বিয়ে,বিয়ের পর জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ ও ইসলাম রীতিনীতি মানতে বাধ্য করা,নবরাত্রির দিন জোর করে মাংস খেতে বাধ্য করা, এবার তিন তালাক দেওয়ার পর হিন্দু স্ত্রীকে হালালা করতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের নরসিংহপুর জেলার(Narsinghpur District) কারেলী (Kareli) থানা এলাকায় । মহিলা এনিয়ে স্বামী মহম্মদ ফারুকসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে এনিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন, তিন তালাক আইন, যৌতুক হয়রানি এবং নৃশংসতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কারেলি থানার ইনচার্জ অখিলেশ মিশ্র ।
জানা গেছে,মহম্মদ ফারুকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই মহিলার । মহিলা বাড়ির অমতে ২০১৪ সালে তাঁকে বিয়ে করেন । বর্তমানে তাঁদের দুই কন্যাসন্তান রয়েছে । মহিলার কথায়,’বিয়ের আগে ফারুক বলেছিল তাকে তার ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করবে না । কিন্তু বিয়ের পরপরই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে আমায় ধর্ম পরিবর্তন করতে বাধ্য করে । আমায় জোর করে নামাজ পড়তে বাধ্য করা হত । অস্বীকার করলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাকে মারধর করত । আমায় পূজা করতে দিত না । নবরাত্রিতে আমি ব্রত রাখলে বাড়িতে মাংস ও মদ নিয়ে আসত। আমাকে নবরাত্রির সময় মাংস খেতেও বলা হত । আমি রাজি না হলে আমাকে তিন তালাকের হুমকি দিত।যৌতুকের জন্যও আমাকে নির্যাতন করত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন । ফারুকের মা বলতেন দশজন নারীর সাথে তাঁর ছেলের বিয়ে দেবেন ।’
মহিলার অভিযোগ,’আমার স্বামী প্রতিদিন নেশা করে এসে আমায় মারধর করত । আমার স্বামী আরো বলত দুই সন্তানও নাকি তার ঔরসজাত সন্তান নয় । এত কিছু অত্যাচারের পরেও দুই মেয়ের মুখ চেয়ে আমি সব সহ্য করে গেছি ।’
মহিলার জানিয়েছেন,চলতি মাসের ২৪ তারিখে তাঁর স্বামী তাঁকে তিন তালাক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয় । এখন তাঁকে ‘নিকাহ হালালা’র জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে । কিন্তু হালালার নামে তিনি অন্য পুরুষের সঙ্গে সহবাস করতে রাজি নন । তাই বাধ্য হয়ে তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ।
এদিকে অভিযোগ পেতেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,বাকি অভিযুক্তরা পলাতক । তাঁদের সন্ধান চলছে ।।
তথ্য : কৃতজ্ঞতা স্বীকার ওপি ইন্ডিয়া ।