এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাদোদরা(গুজরাট),১০ অক্টোবর : গুজরাটের ভাদোদরা শহরের ভায়লি এলাকায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণকারীদেরকে গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। তান্ডলজা এলাকার একতানগর কলোনিতে বাস করেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কর্পোরেটর। এ বিষয়ে খবর পেয়ে এলাকা পরিদর্শন ও অনুসন্ধানে দেখা গেছে তাকে, ধর্ষকদের অবৈধ বাড়ির বিষয়ে পুরসভাকে রিপোর্ট করা হয়েছে। বিষয়টি মাথায় রেখেই দুই ধর্ষককে নোটিশ দিয়েছে কর্পোরেশন।
ভৈলি এলাকায় গণধর্ষণ ঘটনার পর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কর্পোরেটর নীতিন ডোঙ্গা জানতে পারেন যে অভিযুক্ত তান্ডলজা এলাকার একতানগর কলোনিতে থাকে, তাই তিনি একতানগরে পরিদর্শনে যান। যেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারে বিদেশি নরাধামের বাড়িগুলো অবৈধ।
নিতিন ডোঙ্গা কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন যার ভিত্তিতে কর্পোরেশন আজ তাদের বাড়ি দুটি জরিপ করেছে। তান্দলজা একতানগরে বসবাসকারী মুন্না আব্বাস বানজারা ও মমতাজ ওরফে আফতাব বানজারার বাড়ি অবৈধ বলে প্রমাণিত হওয়ায় । তাদের উভয়কে অবিলম্বে বাড়িটি ভেঙে ফেলার নোটিশ দেওয়া হয়েছে ।
গুজরাটে গত ১৫ দিন ধরে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। বুধবার মংরোলের বারসারে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই একই জেলার মান্ডভিতে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে । এই ঘটনায় পুলিশ মামলা রুজু করে অভিযুক্ত মংগলের ভাটকোল গ্রামের বাসিন্দা আরবাজ সিরাজ পাঠান নামে এক ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। ওই মুসলিম ব্যক্তির লাগাতার ধর্ষণের জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে কিশোরী । তার পেটে ব্যথা শুরু হওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই তার গর্ভপাত হয়।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, সুরাটের মান্ডভি তালুকের কাছে একটি গ্রামে একটি শ্রমজীবী পরিবারের ১৪ বছরের নিষ্পাপ মেয়েকে বারবার ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে টানা আট মাস ধরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে যাচ্ছিল আরবাজ সিরাজ পাঠান । ধর্ষণের পর কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। মুসলিম যুবক কিশোরীকে প্রলুব্ধ করে রিকশায় তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করত বলে অভিযোগ ।
কিশোরীর হঠাৎ পেটে ব্যথা শুরু হলে পরিবার তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যায়। যেখানে উপস্থিত চিকিৎসকরা জানান, নাবালিকা গর্ভবতী। একথা শুনে বাবা-মায়ের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। এদিকে, অল্প সময়ের মধ্যে ছোট্ট মেয়েটির গর্ভপাত করা হয়। এ বিষয়ে কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় যে মংগলের ভাটকোল গ্রামের আরবাজ সিরাজ পাঠান নামে এক ব্যক্তি তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেছে । নাবালিকাকে বারবার ভয় দেখিয়ে কুকর্ম করত ওই নরপশু । তাই আতঙ্কিত হয়ে পড়া মেয়েটি বিষয়টি পরিবারের কাছে গোপন করে গিয়েছিল । এই পুরো বিষয়টিতে, মান্ডভি পুলিশ পকসো আইন এবং নৃশংসতা আইনের অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে এবং অভিযুক্তকে ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে । উল্লেখ্য,গুজরাটে বিগত ১৫ দিনের মধ্যে সাতটিরও বেশি ধর্ষণের মামলা পুলিশের খাতায় নথিভুক্ত হয়েছে। দাহোদ, ভাদোদরা, সুরেন্দ্রনগর, মেহসানা, রাজকোট, ধ্রাংধরা, কচ্ছ এবং অন্যান্য শহরে যৌন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে ।।