এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),১৩ মার্চ : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল থেকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা অসুস্থ বধুকে । হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার কথা হয়েছিল । তাই ওই প্রসুতিকে হাসপাতাল চত্বরের একটি গাছের তলায় শুইয়ে রেখে অ্যাম্বুলেন্সের জন্য প্রতিক্ষা করছিলেন পরিবারের লোকজন । কিন্তু দীর্ঘক্ষন প্রতীক্ষার পরেও অ্যাম্বুলেন্সের দেখা মেলেনি । এদিকে গাছ তলাতেই প্রসব হয়ে যায় কাটোয়ার করজগ্রামের বাসিন্দা সেলিনা বিবি নামে বছর ছাব্বিশের ওই বধুর । শনিবার দুপুরে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় । এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফেলতির অভিযোগ তুলেছেন প্রসুতির পরিবারের লোকজন । যদিও সন্তান জন্মানোর খবর পেয়ে ওই মহিলাকে তরিঘরি হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করে নেয় হাসপাতাল কর্মীরা । বর্তমানে মা ও সদ্যোজাত সুস্থ রয়েছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে ।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, করজগ্রামের বাসিন্দা সেলিনা বিবি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন । শুক্রবার রাত থেকে হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন । তাই এদিন সকালে প্রথমে তাঁকে কাটোয়া শহরের এক স্ত্রী ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞর কাছে দেখানো হয় । এরপর ওই চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিলে বধুকে সকাল এগারোটা নাগাদ কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে আনা হয় ।
বধুর মা হামিদা বিবি বলেন,” আমার মেয়ের রক্তক্ষরণ হয়েছিল । ডাক্তারবাবুরা দেখার পরেই মেয়েকে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। হাসপাতাল থেকে বলা হয় আ্যম্বুলেন্সের ব্যাবস্থা করা হবে । ওরা আমাদের অপেক্ষা করতে বলে । এরপর আমরা হাসপাতালের সামনে গাছতলায় মেয়েকে শুইয়ে রেখে অপেক্ষা করতে থাকি । কিন্তু দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করার পরেও আ্যম্বুলেন্স আসেনি । এদিকে গাছতলাতেই আমার মেয়ের প্রসব হয়ে যায় ।’ জানা গেছে,এটি সেলিনা বিবির তৃতীয় সন্তান ।
এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা ।
এই প্রসঙ্গে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার শুভ্রজিৎ দে বলেন,” ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও জানানো হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনার পুনুরাবৃত্তি না হয় সেই চেষ্টা করা হবে ।’।