এইদিন ওয়েবডেস্ক,হারারে,১৩ জানুয়ারী : করোনা অতিমারিতে জিম্বাবুয়ের কিশোরীদের মধ্যে গর্ভধারন প্রবনতা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে । বেড়েছে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বিবাহের সংখ্যাও । জিম্বাবুয়েতে দুটি বিবাহ আইন রয়েছে । একটি প্রথাগত, অন্যটি সরকারি । তবে কোনও আইনেই বিয়ের জন্য ন্যূনতম বয়সের উল্লেখ নেই । এছাড়া প্রথাগত আইন অনুযায়ী বহুবিবাহকে মান্যতাও দেওয়া হয়েছে ।
জিম্বাবুয়েতে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মেয়ের ১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ে হয়ে যায় । চার শতাংশের বিয়ে হয় ১৫ বছর বয়সের আগেই । যার ফলে একদিকে যেমন ওই সমস্ত মেয়েদের শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে হয়,তেমনি শিকার হতে হয় যৌন নিপিড়নেরও । এমনকি সন্তানের জন্ম দেওয়ার সময় মৃত্যুর আশঙ্কাও থেকে যায় । কিন্তু সব কিছু জেনে বুঝেও বাবা-মা তাঁদের মেয়েকে কৈশোরেই বিয়ে দিতে বাধ্য হন । এর পিছনে প্রধান কারন পারিবারিক অভাব । সন্তানের ভরণ পোষন এড়াতে অল্প বয়সেই মেয়ের বিয়ে দিতে বাধ্য হন অবিভাবকরা ।এই প্রবনতা রোধ করতে সরকার ২০২০ সালের আগস্টে একটি আইন পরিবর্তন করে গর্ভবতী শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে দীর্ঘকাল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল । অনেকেই এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছিলেন । কিন্তু পরবর্তী কালে নতুন এই আইনটি কার্যত ব্যর্থ হয় ।
বৃহস্পতিবার জিম্বাবুয়ের একটি গ্রামে গিয়ে দেখা গেল সদ্য মা হওয়া এক কিশোরীর বাস্তব জীবন। দুই কামরার বাড়িতে বসবাস । একটি ঘরে মাস তিনেকের একটি শিশু নিরন্তর কেঁদে যাচ্ছে । শিশুর মা ভার্জিনিয়া মাভুঙ্গা মাথায় বালতি নিয়ে কূপ থেকে জল আনতে যাচ্ছে । এছাড়া রাস্তার ধারে ফলমূল এবং শাকসবজি বিক্রি করা, রান্না করা,পোশাক পরিচ্ছদ ও ঘর পরিষ্কার করার পাশাপাশি শিশুর পরিচর্যা করা তার নিত্যদিনের কাজ । ভার্জিনিয়া মাভুঙ্গার কথায়,’এটাই এখন আমার জীবন ।’।