শেখ মিলন,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১৭ ফেব্রুয়ারী : অজানা রোগে পোল্ট্রি মুরগির মড়ক লাগায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার ও আউশগ্রামের পোলট্রি ফার্ম মালিকরা । এখন রোগটি চিহ্নিত করতে পারেনি রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রক । বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এটি কোনোভাবেই বার্ড ফ্লু’ র ঘটনা নয়। নানা কারণে মুরগী মারা যেতে পারে। এখন এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত পড়ে গেছে পোলট্রি ফার্ম মালিকদের ।
আজ সোমবার পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার নতুনগ্রামে গিয়ে দেখা গেল, গ্রামে বেশ কিছু পোলট্রি ফার্ম মালিকরা বসে আছেন। তাদের প্রায় সবার খামারেই গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার মুরগী মারা যাচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, ছোট মুরগী থেকে বড় মুরগী সবা আক্রান্ত হচ্ছে। প্রথমে ঝিমুনির মত উপসর্গ এবং ধীরে ধীরে মুরগী মারা যাচ্ছে। কোনো চিকিৎসাই কাজে আসছে না।
এদিকে, জেলায় বেশিরভাগ ফার্ম মালিকরা এখন কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে মুরগী চাষ করেন। সেক্ষেত্রেও তাদের নিজেদের খাটুনি, শ্রমিকের বেতন লএবং তুষের জন্য বড় অংকের খরচ সবটাই মার যাচ্ছে। এইসব মৃত মুরগী গর্ত করে মাটিতে পুঁতে দিচ্ছেন ফার্ম মালিকরা । যাতে এই থেকে আর কোনো রোগ না ছড়ায় সে কথাও মাথায় রাখতে হচ্ছে তাদের ।
পোলট্রি ফার্ম মালিকরা জানাচ্ছেন, রোগ হলে কোম্পানির লোক আসছে। কিছু ওষুধ প্রয়োগ করছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাজ হচ্ছে না। যেসব খামারী ব্যক্তিগতভাবে চাষ করেন তাদের তো বড় ধরণের ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে।এর ফলে সংসার চালাতে বড় ধরণের সমস্যায় তারা।
এই অজানা রোগ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞ প্রাণী চিকিৎসক ডাঃ পার্থ সরকার জানান, পশ্চিমবঙ্গে এখনো বার্ড ফ্লু’র ঘটনা নথিভুক্ত হয়নি। আবহাওয়ার পরিবর্তন, আলোর কমবেশি বা সঠিক ওষুধ বা পরিচর্যার অভাবেও মুরগী মারা যেতে পারে। সঠিকভাবে পরীক্ষা না করে এভাবে বলা সম্ভব নয়। অন্যদিকে খামারী উৎপলময় ঘোষরাও জানেন না, ঠিক কী রোগ হয়েছে । তারা জানান,কিছুই বুঝতে পারছেন না তারা । এদিকে মুরগী বাঁচানো যাচ্ছে না। ফলে বিরাট লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে । এছাড়াও বাজারেও এর প্রভাব পড়ছে ।।

