এইদিন ওয়েবডেস্ক,লখিমপুর খেরি,১৭ সেপ্টেম্বর : উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে দুই আদিবাসী নাবালিকা বোনকে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় জাতপাত ইস্যু তুলে যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে আক্রমণ করার মতলব কষেছিল কংগ্রেস,আম আদমি পার্টি ও এক শ্রেনীর বুদ্ধিজীবীরা । কিন্তু এই ধর্ষণ খুনের মামলার আসামিরা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের হওয়ায় এখন তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন । সাবা নকভি (Saba Naqvi) নামে এক সাংবাদিক এনডিটিভির খবর শেয়ার করে টুইটারে লিখেছিলেন,’ইউপির লখিমপুরে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল ২টি নাবালিকা কিশোরী বোন। নিহতদের বর্ণ উল্লেখ করাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল, রিপোর্টে উল্লেখ নেই ।’
তাঁর এই টুইটের স্ক্রীন শর্ট শেয়ার করে আনশুল সাক্সেনা(Anshul Saxsena)নামে এক ব্যক্তি লিখেছে, ‘উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে 2 টি নাবালিকা দলিত মেয়েকে একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। গতকাল সাংবাদিক সাবা নকভি বলেছিলেন যে জাত উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ। আজ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু এখন, তিনি বলবেন না যে অপরাধীদের জাত বা ধর্ম উল্লেখ করুন কারণ এটি তার এজেন্ডার মধ্যে পড়ে না ।’
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে দুই আদিবাসী নাবালিকা বোনকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুনের ঘটনায় ধৃতরা হল জুনায়েদ,সোহেল,আরিফ,হাফিজ, ছোটু ও করিমুদ্দিন। । পুলিশ জানিয়েছে,’দুই বোনের সঙ্গে সোহেল ও জুনাইতের বন্ধুত্ব ছিল । দুই বোনকে মোটরবাইকে চাপিয়ে আখের খেতে নিয়ে গিয়েছিল সোহেল ও জুনাইথ । সেখানে দুই কিশোরীকে তারা ধর্ষণ করে । নির্যাতিতার সুখাইল ও জুনায়েদকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে দুই যুবক মিলে মেয়ে দুটিকে তাদের ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে । তারপর তারা করিমুদ্দিন এবং আরিফকে ডেকে আনে । বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তারা চারজন মিলে ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে কিশোরীদের মৃতদেহ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দেয় ।
সুত্রের খবর, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বাদ্রা, অখিলেশ যাদব ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালসহ বেশ কয়েকজন নেতা নিহত কিশোরীদের বাড়ি লখিমপুর খেরি জেলার নিঘাসন থানার অন্তর্গত লালপুর মাজরা তামোলি পূর্ব গ্রামে যাওয়ার পরিকল্পনা করে ফেলেছিল । কিন্তু ওই ঘৃণ্য ঘটনায় ধৃত আসামিদের নাম প্রকাশ্যে আসার পরেই এখন তাঁরা চুপ হয়ে গেছেন ।।