এইদিন ওয়েবডেস্ক,পোল্যান্ড,২৬ মার্চ : বেলারুশ সীমান্তে অবৈধ অভিবাসীদের একটি দলকে গুলি করে মারল পোলিশ সেনা । সেই ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । ভিডিওতে দেখা গেছে বেলারুশ সীমান্তে বিশাল উঁচু ধাতব বেড়া দেওয়া রয়েছে । অন্যপ্রান্ত থেকে সেই বেড়ার একাংশ গ্যাস কাটার দিয়ে কাটা হচ্ছে । বেড়া কাটার পর সেই ফাঁক দিয়ে একে একে বেশ কয়েকজন ঢুকে পড়ে । তাদের মধ্যে একজনের হাতে একটা মই লক্ষ্য করা গেছে । হঠাৎ সেখানে দুটি চারচাকা গাড়ি ছুটে আসে । তার মধ্যে একটা গাড়ি থেকে সেনাবাহিনী দ্রুত নামে এবং তারা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করে । পরে অ্যাম্বুলেন্সে দেহগুলি তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ।
এদিকে পোলিশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছে সেদেশের নাগরিকরা । একজন এক্স ব্যবহারকারী (@LionelMedia)সেই ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন,’পোল্যান্ড বিশ্বকে দেখাচ্ছে কিভাবে এটি করা হয়—পেশাদারভাবে সুরক্ষিত সীমান্ত, কোন ক্ষমা চাওয়া নেই, কোন বিশৃঙ্খলা নেই,শুধু শক্তি, শৃঙ্খলা এবং জাতীয় গর্ব। পশ্চিমা নেতারা যখন নড়বড়ে, পোল্যান্ড মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, প্রমাণ করছে যে সার্বভৌমত্ব এখনও গুরুত্বপূর্ণ । দেখো আমেরিকা ।’
তিনি আরও লিখেছেন,’আমার মনে হয় যখন আমাদের একজন তরুণ বীরকে বেড়া ভেদ করে বর্শার আঘাতে হত্যা করা হয়েছিল, তখন পোল্যান্ড অভিবাসীদের প্রতি সমস্ত সহানুভূতি হারিয়ে ফেলেছিল । যেহেতু তাদের সীমান্তে প্রাণঘাতী শক্তি প্রয়োগের অধিকার দেওয়া হয়েছে, এবং এখনও তারা কাউকে হত্যা করা থেকে বিরত রয়েছে। দয়া করে আমাদের বিশ্বখ্যাত সীমান্তরক্ষী বাহিনী স্ট্রাজ গ্রানিচনাকে অনুসরণ করুন এবং সমর্থন করুন।’
এদিকে এই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ভারতেও । বাবা বেনারস নামে একজন এক্স ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন,’বেলারুশ থেকে পোল্যান্ড সীমান্ত অতিক্রমকারী সকল জিহাদিকে পোলিশ রক্ষীরা স্বর্গে পাঠিয়েছিল। আমি আশা করি ভারত সীমান্তে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গাদের সাথেও একই আচরণ করবে ।’ যদিও কেউ কেউ এনিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মানসিক দৃঢ়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। নরেন মুখার্জি লিখেছেন,’যতক্ষণ মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী আছেন, ততক্ষণ এখানে এমন কিছু আশা করবেন না।’ ট্রুথ প্রিভেলসের কথায়, ‘রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশীদের সাথে একই আচরণ করার সাহস মোদির নেই। তিনি মুসলিমদের “সৌগাত-এ-মোদি” উপহার দিতে এবং তুষ্ট করতে ব্যস্ত। দেখুন।’ গৌতম আগরওয়াল ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, ‘দুঃখের বিষয় হল, ভারতে সুপ্রিম কোর্ট একটি আদেশ দিয়েছে যে এই অবৈধ অভিবাসীদের শিশুদের অধিকার সুরক্ষিত করা উচিত।’।