এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৩ অক্টোবর : মঙ্গলবার রাতে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ বিধানসভার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর চন্দনপুর গ্রামের পুজো মণ্ডপে দেবী কালীর প্রতিমার মাথা কেটে দিয়েছে বলে অভিযোগ । এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকায় প্রথম থেকেই সরব ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । পরে ভাঙচুর হওয়া কালী প্রতিমাটি পুলিশ প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গেলে শুধু এরাজ্য নয়,গোটা দেশজুড়ে তোলপাড় পড়ে যায় । দেবী প্রতিমাটি প্রিজন ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারী সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাওকে দায়ি করেন ।
যদিও গতকাল রাজ্য পুলিশের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয় যে কাকদ্বীপের ঘটনায় কিছু মহল থেকে ভুল তথ্য ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে । রাজ্য পুলিশের ওই পোস্ট ট্যাগ করে পুলিশকে ‘নির্লজ্জ-মেরুদণ্ডহীন-নীচ-ঘৃণ্য লোক’ আখ্যা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘প্রিজন ভ্যানে মা কালীর মূর্তি রাখার কারন ব্যাখ্যা করুন ।’
রাজ্য পুলিশের এক্স হ্যান্ডেলে লেখা হয়েছে,’ কাকদ্বীপের একটি ঘটনা সম্পর্কে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য কিছু মহল থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। তথ্য হলো: আজ সকালে সূর্যনগর জিপির অন্তর্গত একটি গ্রামের মন্দিরে দেবী কালীর একটি প্রতিমা ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এই দুষ্কর্মের পেছনে কারা রয়েছে তা শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ আরও লেখা হয়েছে,’ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিমা নিয়ে স্থানীয়রা জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে এবং বিসর্জন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পুলিশ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলনকারীদের বোঝায়, যার ফলে রোগীদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সও আটকে পড়ে। বিক্ষোভকারীরা দমে না গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করলে, জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য পুলিশ ন্যূনতম বল প্রয়োগ করে। এরপর প্রতিমা বিসর্জন সহজতর করা হয়।’
শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন,’প্রিজন ভ্যানে মা কালীর মূর্তি রাখার ন্যায্যতা প্রমাণ করার একটি কারণ তালিকাভুক্ত করুন। হে নির্লজ্জ মেরুদণ্ডহীন নীচ ঘৃণ্য লোকেরা আপনারা লজ্জায় মাথা ঝুঁকিয়ে থাকুন ৷’ এদিকে জানা যাচ্ছে যে কাকদ্বীপে মূর্তি ভাঙার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । ধৃতের নাম নারায়ণ হালদার। কাকদ্বীপ থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।।

