এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১২ অক্টোবর : মোমিনপুরের ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ উগরে দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ । মোমিনপুরের সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় দায়ের করা জোড়া জনস্বার্থ মামলার শুনানির হয় বুধবার । জনৈক নব্যেন্দু কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি আইনজীবী সেলের সুস্মিতা সাহা দত্তর তরফ থেকে দায়ের করা জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের কাছে জানতে চান,বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার পর কেন ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে (NIA) জানানো হয়নি ? এলাকায় সম্প্রীতি ফেরাতে কি কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ? পাশাপাশি এদিন বেলা দু’টোর মধ্যে রাজ্যের কাছে মোমিনপুর সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট । নির্দেশ না মানলে পুলিশ কমিশনারকে পর্যন্ত আদালত তলব করতে পারে বলে খবর ।
কোজাগরী লক্ষ্মীপূর্ণিমার দিন খিদিরপুরের ওয়াটগঞ্জ ও একবালপুর থানা এলাকায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় । বিশেষ করে মোমিনপুরের ময়ূরভঞ্জ রোড এলাকায় উত্তেজনা চরম আকার ধারন করে । এলাকাটি মুসলিম অধ্যুষিত । সেখানে অল্প কিছু হিন্দিভাষী হিন্দু সম্প্রদায়ের পরিবারের বসবাস । কোজাগরী লক্ষ্মী পূজোর দিন দুষ্কৃতীরা মূলত হিন্দুদের ঘরবাড়িগুলি টার্গেট করে বলে অভিযোগ । পাথরবৃষ্টি, ঘরবাড়ি ও বাইক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, এমনকি এলোপাথাড়ি বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে । পুলিশ বাহিনীর সামনেই কার্যত তান্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা । এমনকি দীর্ঘক্ষণ একবালপুর থানা ঘেরাও করে রাখা হয় । ওই হিংসায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন । এই ঘটনায় এযাবৎ ৮০টি ভিন্ন ভিন্ন মামলা দায়ের করা হয়েছে । এখনও পর্যন্ত ৪২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ।
বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন ৫ হাজারের অধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন । পুলিশ নিজে আক্রান্ত হলেও হিংসা দমনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুভেন্দু প্রশ্ন তুলেছিলেন । প্রশ্ন উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকেও । এবার পুলিশের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি প্রশ্ন তুলে দিল খোদ হাইকোর্টও।।