প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৭ জানুয়ারি : রাতের অন্ধকারের মধ্যে সড়ক পথে পড়েছিল একাধীক বস্তায় ভর্তি ’খাদ্যসাথীর’ চাল ।সোমবার রাতে তা চোখে পড়তেই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানায় খবর দেন সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি।সেই খবর পেয়ে রাত প্রায় ১১টা নাগাদ পুলিশ জৌগ্রাম- জামালপুর সড়কপথে কোলসরার বাবলারি বাঁক এলাকায় পৌছায় ।তখনও সেখানেই সড়ক পথের উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল ১১টি বস্তায় ভর্তি সরকারী ’খাদ্যসাথীর’ চাল।পুলিশ ওই চালের বস্তাগুলি উদ্ধার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।তবে বস্তা বস্তা ’খাদ্যসাথীর’ চাল রাতের অন্ধকারে সড়ক পথে কি ভাবে এল সেই বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদেরও ভাবিয়ে তুলেছে।
জামালপুরের আবুজহাটি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কোলসরা গ্রামে সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি । মঙ্গলবার তিনি জানান, নিজের কিছু কাজ মেটাতে সোমবার তিনি শহর বর্ধমানে গিয়েছিলেন।
রাতে চারচাকা গাড়িতে চড়ে বর্ধমান থেকে কোলসরা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন।রাত ১০ টার পর তিনি জৌগ্রাম- জামালপুর রোডে কোলসরার বাবলারি বাঁকের কাছে পৌছান । তখন গাড়ির আলোয় তিনি দেখতে পান সড়ক পথে একের পর এক বস্তায় ভর্তি কিছু পড়ে আছে । এমনটা দেখে গাড়ির হেডলাইট জেলে তিনি বস্তার কাছে গিয়ে দেখেন , মুখ শেলাই করা প্রতিটি বস্তার উপরে ’খাদ্যসাথীর’ লোগো ও চাল থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে।পাাশাপাশি চালের বস্তা গুলিতে ’ফর পিডিস সাপ্লাই’ বলেও লেখা রয়েছে বলে তিনি দেখতে পান । সুদীপ্তবাবু বলেন,“সরকারী ’খাদ্যসাথীর“ চালের একাধীক বস্তা রাতের অন্ধখারে সড়ক পথের উপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকার বিষয়টি আমার কাছে রহস্যজনক মনে হয় তাই আর একমুহুর্ত দেরি না করে আমি জামালপুর থানার ঘটনার কথা জানাই । পুলিশ রাতে ঘটনাস্থলে পৌছে সবকিছু খতিয়ে দেখে চালের বস্তাগুলি উদ্ধার করে নিয়ে যান ।
এদিকে খাদ্যসাথীর চাল ভর্তি ১১ বস্তা রাতের বেলায় সড়কপথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল জেনে
স্তম্ভিত হয়ে যান জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভূতনাথ মালিক । এদিন তিনি বলেন
,“ঘটনার কথা আমি ব্লকের বিডিও এবং ফুড ইন্সপেক্টরকে জানিয়েছি । কি ভাবে “খাদ্যসাথীর“
চালভর্তি বস্তা গুলি রাতে সড়কপথে পড়ে থাকলো সেটাই আশ্চর্যের । আমার মনেহয় কোন চক্র
রাতের অন্ধকারে ’খাদ্যসাথীর“ চাল অবৈধভাবে
কোথাও পাচার করতে গিয়ে এমন বিপত্তি ঘটিয়ে বসেছে। পুলিশ ও প্রশাসন ঘটনার তদন্ত করে
যাতে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করে সেই আর্জি রেখেছেন সভাপতি ভূতনাথ মালিক“ । এই বিষয়ে
জামালপুর থানার এক পুলিশ কর্তা বলেন,
“খাদ্যসাথীর’ চাল ভর্তি ১১টি বস্তা সড়ক পথ থেকে মিলেছে । এই চালের বিষয়ে ব্লকের ফুড ইন্সপেক্টরকে জানানো হয়েছে। সরকারী চাল ভর্তি বস্তা গুলি কিভাবে সড়ক পথে এল তা তদন্তকরে দেখা হচ্ছে’বলে ওই পুলিশ কর্তা জানান “। বিডিও (জামালপুর) শুভঙ্কর মজুমদার বলেন,“ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে আমি পুলিশের কাছে খোঁজ নি । জানতে পেরেছি ,উদ্ধার হওয়া ’খাদ্যসাথীর’ চালের বিষয়ে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে ।’।