এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৮ এপ্রিল : পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে ভুয়া জন্ম শংসাপত্র তৈরির মামলায় পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য । এই ঘটনার মূল পান্ডা ভাতার থানার পাটনা গ্রামের বাসিন্দা শেখ হাসমত জামান ওরফে কচি শেখকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ ইতিমধ্যেই ২ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে । ভাতার থানার বলগোনা বাজারে হাসমত জামানের সাইবার কাফেতে রবিবার রাতে পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালালে প্রায় ৩০ টি জাল জন্ম সংশাপত্র ছাড়াও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসের অন্তত ৪০ টি সিল উদ্ধার করা হয় । বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি কম্পিউটার সিপিইউ । আজ সোমবার ভাতার থানায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পূর্ব বর্ধমানের ডিএসপি (ক্রাইম) সুরজিৎ মণ্ডল জানান, ধৃত শেখ হাসমত জামান মূলত জাল জন্ম সংশাপত্র তৈরির কাজ করছিল । প্রতি শংসাপত্র পিছু ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা করে নিত সে ।
কিভাবে ফাঁস হল শেখ হাসমত জামানের এই বেআইনি কারবার ?
এই বিষয়ে ডিএসপি বলেছেন,ভাতার থানার এরাচিয়া গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারা বেগম(৩৮) এবং তাঁর স্বামী হজযাত্রার প্রয়োজনে গত মার্চ মাসে পাসপোর্টের জন্য ভাতারের এআইডিও-এর কাছে আবেদন করেছিলেন । কিন্তু তাদের নথিপত্র ডিআইবি (ডিস্ট্রিক্ট ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ) থেকে ভেরিফিকেশনের সময় জানতে পারা যায় যে মহিলার জন্ম শংসাপত্র জাল । সেটি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ থেকে ইস্যু করা হয়েছে ৷ এরপর ডিআইবি থেকে ভাতার থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় ওই মহিলাকে । শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় শেখ হাসমত জামানকে । তিনি জানান,তাকে আদালতে তুলে দুদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় । রবিবার রাতে হাসমত জামানকে সঙ্গে নিয়ে বলগোনা বাজারে তার সাইবার কাফেতে অভিযান চালালে ৩০ টি জাল জন্ম সংশাপত্র এবং প্রায় ৪২ টি সিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে ডিএসপি জানান ।
পুলিশ সূত্রে খবর,এক সময় বলগোনা বাজারে টিউশন পড়াতেন ভাতার থানার পাটনা গ্রামের বাসিন্দা ধৃত হাসমত জামান ওরফে কচি শেখ । পরে গৃহশিক্ষকতা ছেড়ে সাইবার কাফে খোলে সে । আর অল্প পরিশ্রমে প্রচুর টাকা উপার্জন করতে বেআইনি কর্মকাণ্ড শুরু করে দেয় হাসমত জামান । কিন্তু সে ঠিক কত সংখ্যক জাল সংশাপত্র তৈরি করেছে তা এখনো স্পষ্ট নয় । ডিএসপি (ক্রাইম) সুরজিৎ মণ্ডল জানান,ঘটনার পুর্নাঙ্গ তদন্ত চলছে ।।