প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৫ নভেম্বর : ঝোপ জঙ্গলের মধ্য থেকে এক মহিলার অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে পেরিয়ে গিয়েছে আটটা দিন ।কিন্তু মহিলার পরিচয় বা তাঁকে খুনের ঘটনায় জড়িতদের কারুরই নাগাল এখনও পায়নি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার পুলিশ । এই অবস্থায় মহিলার পরিচয় উদ্ধারের লক্ষে ওই অর্ধদগ্ধ মহিলার দেহের ছবি সহ পোস্টার পুলিশ লাগালো জামালপুরের জনবহুল এলাকায় । ছবি দেখে চিনতে পেরে কেউ মহিলার বিষয়ে কোন সূত্র দিলে তার ভিত্তিতে তদন্ত চালিয়ে খুনের ঘটনার কিনারা হতে পারে বলে পুলিশ মনে করছে। যদিও পোস্টারে দেওয়া তদন্তকারী পুলিশ কর্তার ফোন নম্বারে ফোন করে সোমবার রাত পর্যন্ত কেউ কিছু জানান নি বলে জানা গিয়েছে ।তবে হাল ছাড়েন নি পুলিশ কর্তারা । মহিলার পরিচার উদ্ধারের জন্য তাঁরা সবরকম ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,গত ৭ নভেম্বর সকালে জামালপুর থানার হৈবতপুর গ্রামের কিশোর বিল্টু পোড়েল হাঁটতে বেরিয়ে গ্রামের নির্জন জায়গায় এক মহিলার অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ দেখতে পান।তিনি ঘটনার কথা গ্রামের সাবাইকে জানান । গ্রামবাসীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে ওই দিন সকালেই জামালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে তদন্তে যায় ।পুলিশকে হৈবতপুরের বাসিন্দারা জানিয়ে দেন, ‘মহিলা তাঁদের এলাকার বাসিন্দা নন ।মহিলাকে অন্য কোথাও খুন করে দুস্কৃতিরা প্রমাণ লোপাটের জন্য রাতের অন্ধকারে মৃতদেহ হৈবতপুর গ্রামের নির্জন জায়গায় এনে আগুন লাগিয়ে দিয়ে পালিয়েছে’ ।গ্রামবাসীরা এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে দেবার পর পুলিশ মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্থে পাঠিয়ে তার পরিচয় উদ্ধারের জন্য তদন্তে নামে ।কিন্তু এখনও পর্যন্ত মহিলার পরিচয় উদ্ধারের মত কোন সূত্র না মেলায় তদন্তকারী পুলিশ কর্তাদের হোঁচট খেতে হচ্ছে।যদিও ইতিমধ্যেই অজ্ঞাত পরিচয় অর্ধদগ্ধ মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি সিআইডি সহ রাজ্যের প্রতিটি পুলিশ কর্তাদের নজরে এনেছে জামালপুর থানা।
এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিরুল ইসলাম খাঁন জানিয়েছেন,”খুনের ঘটনা কিনা তা এখনি বলা সম্ভব নয় ।তবে মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চলছে । মহিলার পরিচয় যেহেতু এখনও উদ্ধার হয়নি তাই পোষ্টার লাগিয়ে বিষয়টি সাধারণ মনুষজনের নজরে আনা হয়েছে ।কেউ মহিলাকে চিনতে পরে পুলিশকে জানালে তা তদন্তের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে ।’।