দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৯ ফেব্রুয়ারী : বাংলাদেশ থেকে এক বৃহন্নলাকে এনে তার সঙ্গে কয়েকজন পুরুষ বৃহন্নলা সেজে জাঁকিয়ে এলাকায় তোলাবাজি করছিল । কিন্তু স্থানীয় এক বৃহন্নলার নজরে পড়ে যায় বিষয়টি । শেষ পর্যন্ত তার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বাংলাদেশী বৃহন্নলাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃত বাংলাদেশী বৃহন্নলার নাম সোহা খাতুন । তার বাড়ি বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার রাজবাড়ি টার্মিনাল ইউনিট এলাকায় । বাকি দু’জন হল কেতুগ্রাম থানার
চাকটা গ্রামের বাসিন্দা জামাল শেখ এবং দক্ষিণডিহি গ্রামের বাসিন্দা বাপি দাস । জামালই ওই বাংলাদেশী বৃহন্নলাকে এনে নিজের বাড়িতে রেখেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । অভিযোগকারী বৃহন্নলা আরও দাবি করেছেন,ওই বাংলাদেশী বৃহন্নলার জাল পরিচয়পত্রের ব্যবস্থা পর্যন্ত করে দিয়েছিল শেখ জামাল । পুলিশ জানিয়েছে,বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
জানা গেছে,কেতুগ্রামের চাকটা গ্রামে বৃহন্নলাদের একটি ডেরা রয়েছে । আর সেই সূযোগ কাজে লাগিয়ে তোলাবাজির একটি চক্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করে জামাল শেখ । সোহা খাতুনকে সে বাংলাদেশ থেকে এনে নিজের রাখে । আরও কয়েকজন পুরুষকে সঙ্গে নেয় জামাল । তারপর জামালসহ ওই পুরুষরা বৃহন্নলা সেজে সোহাকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাচ্ছাদের নাচিয়ে টাকা তুলতে শুরু করে । তাদের এই প্রতারণার ব্যবসা ভালোই চলছিল । কিন্তু একদিন বিষয়টি নজরে পড়ে যায় তাপসী নামে চাকটা গ্রামের বৃহন্নলাদের ডেরার এক সদস্যের । তিনি এই প্রকার তোলাবাজির প্রতিবাদ করলে তাকে ও তার এক সঙ্গীকে হুমকি দেখানো হয় বলে অভিযোগ । এরপর দিন চারেক আগে কেতুগ্রাম থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাপসী বৃহন্নলা । তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । বৃহস্পতিবার ধৃতদের কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয় । পুলিশ জানিয়েছে,চতুর্থ অভিযুক্তের সন্ধান চালানো হচ্ছে ।।