এইদিন ওয়েবডেস্ক,মধ্যপ্রদেশ,২৮ নভেম্বর : মধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলায় ৬ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে পলাতক সলমনকে পুলিশের এনকাউন্টারে খতম করেছে । এই বর্বরোচিত ধর্ষণের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল । যেকারণে সরকার ও পুলিশ ব্যবস্থার উপর তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয় ।
এই পাশবিক ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ২১ নভেম্বর রাইসেন জেলার বনাঞ্চলে। ৬ বছর বয়সী নিষ্পাপ হিন্দু মেয়েটি তার বাড়ির বাইরে খেলছিল, ঠিক তখনই অভিযুক্ত সলমন তাকে চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে সে মেয়েটিকে নির্যাতন করে এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জঙ্গল থেকে তার কান্না শুনে মেয়েটিকে খুঁজে পায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভোপালের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে । মেয়েটির অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের জন্য ৩০,০০০ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল। অভিযুক্ত ২৩ বছরের সলমন গোহরগঞ্জের বাসিন্দা সাহাবুদ্দিনের ছেলে৷
এই ঘটনার পর রাইসেন সহ অনেক জেলায় ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। অনেক জায়গায় অভিযুক্তদের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়, পাথর ছোঁড়া এবং রাস্তা অবরোধের মতো ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব রাতে জরুরি সভা ডেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। রাইসেনের এসপি পঙ্কজ পান্ডেকে অপসারণ করে সদর দপ্তরে বদলি করা হয় এবং আশুতোষকে নতুন এসপি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে যে ধর্ষক সলমনকে যখন ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন কিরাতনগরের কাছে হঠাৎ পুলিশের গাড়ির টায়ার ফেটে যায়। এই সময় সলমন পালানোর চেষ্টা করে এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাল্টা গুলি চালাতে পুলিশ তার পায়ে গুলি করে। এর পরে, স্থানীয় এক ব্যক্তি সলমনকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে,ফের সে পালানোর চেষ্টা এবং আক্রমণের প্রকৃতি বিবেচনা করে এই সংক্ষিপ্ত এনকাউন্টার জরুরি ছিল। গুরুতর আহত সালমানকে ভোপালের একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।।

