এইদিন ওয়েবডেস্ক,জামনগর,১২ অক্টোবর : গুজরাটের জামনগরে ঈদের মিছিলে “সর তন সে জুদা”(মাথা ও শরীর থেকে আলাদা করা)-এর মত উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়ার একটি ঘটনা সামনে এসেছে। এমনকি ওই শ্লোগান দেওয়া হয়েছে জামনগরের এ-ডিভিশন থানায় থানার সামনে । সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর, পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে এবং সাতজন মুসলিমকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযোগ অনুসারে, ঘটনাটি ২০২৫ সালের ৪ সেপ্টেম্বর ঈদের দিন ঘটেছিল। ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে, দরবারগড় এলাকায় মুসলমানরা একটি মিছিল বের করেছিল।এফআইআরে বলা হয়েছে যে দরবারগড় সার্কেল বর্ধন চকে কিছু মুসলিম পুরুষকে “মাথা ও শরীর থেকে আলাদা” স্লোগান দিতে দেখা গেছে। আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে মিছিলে অংশগ্রহণকারী মুসলিমরা বিভিন্ন ইসলামী পতাকা বহন করেছিলেন। কিছু পতাকায় আরবি স্লোগান এবং তরবারির প্রতীক লেখা ছিল, আবার কিছু পতাকা সাদা ও সবুজ রঙে আঁকা ছিল এবং সেগুলোতে তরবারি আঁকা ছিল। এই পতাকাগুলো নাড়ানোর সময়, উগ্রপন্থীরা “আল্লাহু আকবর,” “লাব্বাইক ইয়া রাসুলাল্লাহ,” এবং “সর তন সে জুদা, সর তান সে জুদা” এর মতো স্লোগান দিচ্ছিল।
পুরো ঘটনার ভিডিওটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এর পর, এ-ডিভিশন থানার পিএসআই ভিআর গামেতি বাদি হয়ে এফআইআর দায়ের করেন। পুলিশ অভিযোগে জানিয়েছে যে উগ্রপন্থীরা সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানোর উদ্দেশ্যে এই কাজটি করেছে। এতে আরও বলা হয়েছে যে এই ধরনের কাজ জনসাধারণের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে এবং দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ও শত্রুতা উস্কে দিতে পারে। অভিযোগে মুসলিম মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্ম, বর্ণ, ভাষা এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা ও ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগ অনুসারে, অভিযুক্তরা জনসাধারণের মধ্যে অস্থিরতা উস্কে দেয় এমন বক্তৃতা দিয়ে, ‘সর তন সে জুদা’ (শরীরের মাথা বিচ্ছিন্ন করা) স্লোগান দিয়ে এবং জনসাধারণের মধ্যে ভয় তৈরির উদ্দেশ্যে মানুষকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অপরাধ করেছে ।
এই মামলায়, পুলিশ সাতজন অভিযুক্ত এবং তদন্তের সময় সামনে আসা অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ১৯৬(১)(এ), ১৯৬(১)(বি), ৩৫৩(১)(বি), এবং ৩৫১(৩) ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ভিডিওটির ভিত্তিতে, পুলিশ সাতজন অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম মহসিন খান সেলিম খান পাঠান, বিলাল হাসানভাই নয়ডা, ইমরান সিদ্দিকভাই কুরেশি, ইউনুস হারুন কুরেশি, সাহিল নয়ডা, আলতাফ শেখ এবং সাহিল বাউদিন বেলিম। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের আদালতে তুলে হেফাজতে নেওয়া হবে৷।

