প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২৫ সেপ্টেম্বর : হাইকোর্টের নির্দেশে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর
থানার নবগ্রামে বিজেপি নেতার মাকে খুনের ঘটনার তদন্তভার সিবিআই হাতে নিয়েছে । সিবিআই তদন্ত জারি থাকার মধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলো জামালপুর থানার পুলিশ ।ধৃতের নাম সাগর রায় ওরফে সঞ্জু।তাঁর বাড়ি নবগ্রামের উড়িষ্যাপাড়ায় ।গ্রেপ্তারি এড়াতে সাগর রায় বর্ধমান আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন । শুক্রবার রাতে পুলিশ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে । শনিবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে । ভারপ্রাপ্ত সিজেএম ধৃতকে বিচারবিভাগীয় হেপাজতে পাঠিয়ে ৯ অক্টোবর ফের তাঁকে আদালতে পেশের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে অভিযুক্তকে পুলিশের এখন গ্রেপ্তার করা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক ।সিবিআই এইসময়ে যে মামলার তদন্ত করছে সেই মামলায় পুলিশ কিভাবে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করলো তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।এই প্রসঙ্গে আইনজীবীদের মত হাইকোের্টর নির্দেশে সিবিআই যে মামলার তদন্ত শুরু করেছে সেই মামলায় পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারে না। যদিও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে ,
তদন্ত শেষে আদালতে পুলিশের চার্যশিট জমা পড়ার পর অভিযুক্তর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয় ।পুলিশের দাবি সেই পরোয়ানা কার্যকর করতেই অভিযুক্ত সাগর রায়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ।
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে ,বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরদিন অর্থাৎ গত ৩ মে দুপুরে
নবগ্রামের বিজেপির শক্তিপ্রমুখ আশিস ক্ষেত্রপালের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন। হামলাকারীরা আশিসের বাবা অনিল ক্ষেত্রপালকে টাঙি দিয়ে কোপায়। অনিল ক্ষেত্রপালকে ওই সময়ে বাঁচাতে যান তাঁর স্ত্রী কাকলি ক্ষেত্রপাল।তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করার পাশাপাশি ভোজালি দিয়েও কোপানো হয় বলে অভিযোগ।রক্তাত অবস্থায় কাকলি ক্ষেত্রপালকে উদ্ধার করে জামালপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রতিবেশী মামনি ক্ষেত্রপালের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নামে জামালপুর থানার পুলিশ। তদন্ত সম্পূর্ণ করে পুলিশ আদালতে চার্জশিটও পেশ করে ।তারই মধ্যে হাইকোর্টর নির্দেশে এই খুনের ঘটনার তদন্তভার সিবিআই হাতে নেয় ।।