এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,০৫ নভেম্বর : ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর- এর বিরোধিতায় গতকাল কলকাতার রেড রোডে জনসভা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস৷ নেতৃত্বে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জিসহ দলের মন্ত্রী,সাংসদ ও বিধায়করা । বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের এই সভাকে “জামাত ইসলামি”র সভা বলে কটাক্ষ করেছেন । তার দাবি, ‘বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ, স্বরূপনগর থেকে যত বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী মুসলমানরা গাড়ি করে করে এসে’ এই সভায় ভিড় জমিয়েছিল । এদিকে তৃণমূলের এই প্রতিবাদ মিছিল ও সভার বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে । তার মধ্যে একটি ভিডিওতে কলকাতা পুলিশের ইউনিফর্ম পরে এক পুলিশকর্মীকে দু’হাতে জলের বোতলের প্যাকিং নিয়ে যেতে দেখা গেছে । সেই ভিডিও ক্লিপ এক্স-এ শেয়ার করে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, এটা ” পুলিশের বশ্যতা, কাপুরুষতা এবং চাটুকার চরিত্র উন্মোচন” । তিনি আরও বলেছেন,”মমতা পুলিশ প্রশাসনকে তৃণমূলের চাকর, রাস্তার বাহক এবং রাজনৈতিক যন্ত্রে পরিণত করেছেন৷”
সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন,’এই রাজ্যের মানুষের কাছে এই চিত্র কেবল দুর্ভাগ্য নয়, এটি চরম লজ্জার প্রতিফলন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে পুলিশের বশ্যতা, কাপুরুষতা এবং চাটুকার চরিত্র প্রতিদিন প্রকাশ্যে উন্মোচিত হচ্ছে; এই চিত্রটি তার আরও একটি জীবন্ত প্রমাণ। গতকালের তৃণমূল কংগ্রেসের সমাবেশে কলকাতা পুলিশের দেখানো দাসসুলভ আচরণ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে এই বাহিনীর নৈতিক মেরুদণ্ড অনেক আগেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। এত অবনমিত, পক্ষপাতদুষ্ট বাহিনীর কাছ থেকে নিরপেক্ষতা আশা করা অকল্পনীয় ভ্রান্তিতে থাকার মতো।’
তিনি আরও লিখেছেন,’রাজনৈতিক স্বার্থে, ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা অফিসিয়াল প্রকাশ্যে পুলিশ প্রশাসনকে তৃণমূলের চাকর, রাস্তার বাহক এবং রাজনৈতিক যন্ত্রে পরিণত করেছেন। জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবর্তে, তাদের একমাত্র লক্ষ্য এখন শাসক দলের পা চাটা এবং তোষামোদ করা।’
এর বাইরেও এমন কিছু ফুটেজ সামনে এসেছে যেখানে সভা ভরাতে কিশোরদের পর্যন্ত আনা হয়েছিল বলে অভিযোগ । এমনকি সভায় আগত কিছু মহিলাদের সভার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা কেউই সদুত্তর দিতে পারেননি৷ রাজ্য বিজেপি যুবমোর্চার সহ-সভাপতি তরুনজ্যোতি তিওয়ারি এমনই একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন । কোনো এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের ক্লিপে জনৈক এক মহিলা সাংবাদিক একজন মুসলিম মহিলাকে সভায় আসার কারন জিজ্ঞেস করলে তাকে ক্যামেরার সামনে থেকে ছুটে পালিয়ে যেতে দেখা । এরপর সাংবাদিক একজন মধ্যবয়সী হিন্দু মহিলাকে একই প্রশ্ন করলে তিনিও সদুত্তর দিতে পারেনি । এরপর সাংবাদিক দুই কিশোরের কাছে গিয়ে একই প্রশ্ন করলে তারা জানায় যে তাদের বয়স ১৫ বছর এবং তারা “মজা করতে” এসেছে । তরুনজ্যোতি লিখেছেন,’SIR বিরোধী মিছিলে এগুলো ছিল তৃণমূলের রত্ন৷ দুষ্টু লোকে বলছে এরা হলো দিদির ভূত ।’ তিনি হাসির ইমোজিও ব্যবহার করেন।।

