এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,২৭ সেপ্টেম্বর : “অপরারেশন সিঁদূর” থিম করায় এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিয় শাহ উদ্বোধন করার অপরাধে পূজোর সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপূজা বন্ধ করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠল কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে । পূজোর প্রধান উদ্যোক্তা বিজেপি নেতা সজল ঘোষ ঘোষণা করেছেন যে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গাপূজায় আলোকসজ্জা অফ করে রাখার পাশাপাশি নিরর্জনের আগেই প্রতিমা নিরর্জনের ঘোষণা করেছেন । তিনি অভিযোগ করেছেন,পুলিশ ফোন করে হুমকি দিচ্ছে যে “অপরারেশন সিঁদূর” থিমের অডিও ভিস্যুয়াল চালাতে দেব না । তিনি এটাকে পুলিশের “চুড়ান্ত নোংরামি” বলে অবিহিত করে বলেছেন ৪০ ফুটের রাস্তাকে লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে ১৫ ফুটের রাস্তা করে কলকাতা পুলিশ ইচ্ছা করে প্রতিবন্ধিকতার সৃষ্টি করছে । ফলে প্রতিমা দর্শন করে বাস বা ট্রেনে বাড়ি ফিরতে গিয়ে দর্শনার্থীদের চুড়ান্ত নাকাল হতে হচ্ছে।
তবে সজল ঘোষের এই অভিযোগ যে নিছক অমূলক নয় তার প্রমাণ পাওয়া গেল শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ।গোটা এলাকা পুলিশ ঘিরে রেখে দিয়েছে সুউচ্চ লোহার ব্যারিকেডে দিয়ে । সাধারণত সম্প্রতি আরজি করের অভয়ার ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের দাবিতে নবান্ন অভিযানের সময় এইরকম লোহার বিশাল ব্যারিকেট দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল । শুধু শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর নয়, কোলে মার্কেটেও দেখা গেল একই চিত্র । সজল ঘোষের অভিযোগ,’মাত্র ১৫ ফুটের রাস্তা দিয়ে দর্শনার্থীদের গরু গাদা করে যেতে বাধ্য করছে পুলিশ । যেখানে ৭০০ মিটার হাঁটলে মাঠে পৌঁছে যাওয়া যায় সেখানে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরিয়ে মাত্র ১৫ ফুট রাস্তা দিয়ে তিন সাড়ে তিন কিলোমিটার হাঁটতে বাধ্য করা হচ্ছে ।’ তিনি বলেন,’পুলিশ যেমন বলছে মানুষের জীবন নিয়ে তারা খেলবে না৷ তেমনি আমরাও মানুষের জীবন নিয়ে খেলতে রাজি নই । তবে পুলিশের ভূমিকাটা দেখুন, যেখানে ৪০ ফুটের রাস্তা সেখানে ১৫ থেকে ৪ ফুটের রাস্তার মধ্য দিয়ে দর্শনার্থীদের যেতে বাধ্য করা হচ্ছে ।’ তার অভিযোগ, ‘পুলিশ পরিকল্পনামাফিক কোন একটা দুর্ঘটনা ঘটে যাক চাইছে । যাতে আমাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে ।
আজ বিকেল তিনটার সময় সাধারণ মানুষ এবং পুজো কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটা বৈঠক করেন সজল ঘোষ । বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি ঘোষণা করেন, আমরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে পুজো কমিটির তরফে লাগানো লাইট আমরা নিষ্প্রদীপ করব,প্রতিমার মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে রাখব এবং আমরা পুরোহিতের সাথে কথা বলে যদি দরকার হয় তাহলে মাকে নিরঞ্জনের আগে নিরঞ্জনের ব্যবস্থা করব ।’।