বাঙালির অন্তরাত্মা আজও কত কাঁদে
কখনো বা সুখস্মৃতি ভাসে যে বিষাদে
বিশ্ব বরেণ্য কবি সারা বিশ্বের দ্বারে
বাংলা ও বাঙালির মান যে বাড়ালে।
কত কথা গল্পে গদ্যে পদ্যের ছন্দে ছন্দে
শাশ্বত হয়ে রয়ে গেল কত না বাণী
কত রঙ তুলি দিয়ে জীবন সাজালে
গানে আর কবিতায় ভরালে যে ডালি।
পঁচিশে বৈশাখের এই পুণ্য তিথিতে
মনে পড়ে সেই শিশুর সহজপাঠে
ছড়ায় ছবিতে কত না সরল মন
খুঁজে পেল তার আগামীর স্বপন।
গীতাঞ্জলি নিয়ে এলো ঘরে সম্মান
বিশ্বের সেরা নোবেল জয়ীর তাজ
গীতবিতানের প্রতিটি গানের সুরে
দিন শুরু হয় বাঙালির আজ।
সঞ্চয়িতার প্রতিটি পাতায় পাতায়
ভালোলাগা সদা আমি খুঁজে পাই
প্রেম ভালোবাসা বিরহ বেদনা
ছন্দ লয় ভাষা উপমার মহিমা।
আজোও জ্বলজ্বল করে প্রতিটি সৃষ্টি
অমৃত রস পান করে সব পায় তৃপ্তি
কত না হৃদয়ে তুমি দিয়েছো সুখের দোলা
কেমনে ভুলি গো কবি তোমার গরিমা?
তুমি অমর অনন্ত অন্তরে করো বাস
তব চরণ তলে আমি বসে আছি আজ
ধন্য তুমি হে কবিগুরু লহো মোর প্রণাম
তব আর্শীবাণী লয়ে যেন রাখি তব মান।
বারবার তুমি ফিরে এসো কবি
সাহিত্য সাজাতে এই বাংলার নীড়ে
তুমি বিশ্বকবি আমার বাংলার রবি
সৃষ্টির ঘরে সদা এক উজ্জ্বল ছবি।
তুমি শয়নে স্বপনে নিদ্রা জাগরণে
কি আবেশে জড়ালে আপামর বাঙালিরে
আমরা ধন্য তোমারে পেয়ে তুমি অনন্য
আরবার জাতিরে জাগাও আসি
গুরুরূপে হে রবীন্দ্র বিশ্ব বরেণ্য ।।