বলি ও মেয়ে শুনছিস ও মেয়ে।
শত কষ্ট পেলেও সকলে তোকে বলবে সহ্য করে নে।
কেউ চোখ রাঙাবে কেউ ধমক দেবে
আবার কেউ কেউ উচ্চ স্বরে বলবে কথা।
তবুও মানিয়ে নিতে হবে যতই পাস না কেন ব্যথা?
সবার কথা মতো চলা নয় তো মোটেও সোজা।
মানুষ এর মন সত্যি এক জনমে যায় না বোঝা।
সময় মতো যদি তোর বাবা মা না দিতে পারে বিয়ে।
জানিস মেয়ে কত লোকে দেবে খোঁটা মুখ ঝামটা দিয়ে।
জানিস মেয়ে তুই কিন্তু মাটি দিয়ে গড়া কলসি।
তোর খুঁত ধরবে বলে বসে থাকে পড়শি।
সংসারে অভাবে যখন মেয়ে তুই যাস কাজে।
তোকে নিয়ে আলোচনা হয় সমাজের মাঝে।
লোকে যখন জিজ্ঞাসা করে ও মেয়ে তোর
গায়ের রং যে বড্ড বেশি কালো।
মন দিয়ে পড়াশোনা কর নয়তো
জুটবে না ছেলে ভালো।
ও মেয়ে তোর একা বাড়ি ফিরতে ও লাগে বল ভয়?
একা দেখলে পথে লোকজন করে কত রকমের ছল।
ও মেয়ে তাই না বল?
ও মেয়ে বলি শোন একটা কথা ট্রেনে,বাসে, ট্রামে।
চাপিস কিন্তু খুব খুব সাবধানে৷
ও মেয়ে তোর নিজের তো আবার নেই বাড়ি?
বিয়ে আগে বাপের বাড়ি বিয়ে পরে
শ্বশুর বাড়ি বয়স হলে ছেলের বাড়ি।
তোরা যতই করিস না কেন চাকরি বাকরি।
ও মেয়ে তবুও ধরতে হয় বল ভাতের হাঁড়ি?
আচ্ছা মেয়ে বলতো ব্রাহ্মণের ঘরে জন্ম হয়ে ও
পুরোহিত সব ছেলে তোরা কেন পুজো করসি না?
তোদের কি শাস্ত্র থাকে না জানা?
ও মেয়ে রাতে তোর বর মদ খেয়ে কতই না করে অত্যাচার।
তবুও সব কিছু সহ্য করে করিস তুই স্বামীর ঘর।
ও মেয়ে যা দেখি একটুখানি রেগে।
ও মেয়ে এবারে খড়গ হাতে ওঠ রে তুই জেগে।।