ওপারে তোমার গাঁ
এপারে আমার
মাঝে বালুরাশির কোলে ক্ষীণতনু সুবর্ণরেখা।
সেদিন টুসু নিয়ে নাইতে এসেছিলে
তোমার চকিত চপল চোখে প্রথম দেখা।
তোমরা টুসু গান গাইতে গাইতে ফিরে গেলে গাঁয়ে
জানো,যতক্ষণ দেখা যায় ততক্ষণ বসেছিলাম অপলক চেয়ে।
যেন বুকের ভিতর একটা ঘূর্ণি ঝড় উঠেছিল।
থামলো যখন হৃদয়টাকে দলা পাকিয়ে একপাশে ফেলে রেখে গেল।
তুমি তো বুঝতে পেরেছিলে তাই না?
আচ্ছা
চোখের খেলায় কারও বুকে ঝড় তোলা যায়?
সে ঝড়ের আঁচ কি তোমার বুকে একটুও লাগেনি?
কাল থাকবো আমি
তুমি আসবে টুসু মেলায়?
একটু পাশা পাশি বসে দুলবো না হয়
নাগর দোলায়।
নয়’তো মিঠাই দোকানের পিছনে… শান বাঁধানো গাছতলায়..!
প্যাঁচানো জিলিপির রস চেটে চেটে খাবো শাল পাতার ঠোঙায়…!
আর
আল’তো করে একটা বেল ফুল গুঁজে দেবো তোমার এলো খোঁপায়,
খোঁপা খুলে পিঠে লুটিয়ে পড়বে আজানু লম্বিত কোঁচকানো চুল
বাতাস ছুঁয়ে যাবে দুলে শ্যাম্পুর গন্ধ আমার গালে গলায় পিঠে কুন্তলের সিল্কী পরশ।
কবরীর করবী মালাটা হাতে নিয়ে বলবে
দাও পরিয়ে দাও?
আমি বলবো থাক না খোলা চুলে তোমায় বেশ মোহময়ী লাগে,
আরও কিছুক্ষন অপলক এমন।
একবার চাইলে ,
তোমার সেই চপল চাউনি, আমায় ঘায়েল করে দিয়ে বললে আজ তবে উঠি কেমন ?
আরেক দিনের অপেক্ষায়…!
অপেক্ষারা শুধু অপেক্ষায় ক্লান্ত ……।।