আমরা কত ছবি দেখেছি
কেউ আঁকছে কার্টুন কেউ বা শিল্পীর চোখে নাম দিয়ে কোনো হারিয়ে
যাওয়া সভ্যতা !
কেউ বা বা আঁকছে কোনো প্রাগৈতিহাসিক এক
জীবাশ্মের ছবি ।
আবার অনেকেই গালে হাত দিয়ে তুলি হাতে
চেয়ে আছে আকাশের দিকে !
হয়তো তিনি ভাবছেন আকাশের রং কি হবে ?
নীল নাকি তপ্ত কাঞ্চনের মত !
পরম আত্মীয়কে বাঁচানোর জন্য হাসপাতালে
ঘুরে বেড়াচ্ছে কোনো নারী ।
সেই ছবি কি শিল্পীর তুলিতে রং পায় না !
অক্সিজেনের অভাব দূর করার জন্য কৃত্রিমভাবে
মুখের উপর মুখ রেখে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা ।
মুখে মুখ রেখে শ্বাস নেওয়ার জীবনের
শেষ চেষ্টা টুকু কোনো তুলি টান দিতে পারে না।
চুম্বনের কোনো দৃশ্য পট হলে শিল্পীর তুলিতে
রং ঝরে পড়ত ।
শিল্পীর চোখে এই দৃশ্য খুবই সাধারণ , যে শিশুটি
লঙ্গরখানা থেকে খাবার নিয়ে উত্তপ্ত গরম পিচের
রাস্তায় খালি পায়ে হেঁটে অসুস্থ “পরিযায়ী শ্রমিক”
বাবা ও দীর্ঘ দিন ক্ষুধার্ত থাকা মায়ের জন্য বুকে করে আঁকড়ে নিয়ে যায় খাবার !
এখানে কোন রং দিলে ঠিক ঠাক প্রকাশ পাবে
তাদের জঠর জ্বালা , শিল্পী রং খুঁজতে খুঁজতে
দিশেহারা ।
প্রেমের রং, বিরহের রং, ভালোবাসার রং,
অভিমানের রং শিল্পীর কাছে মজুত আছে ।
কিন্তু হোম কোয়ারন্টাইনে থাকা ছেলেটি জানলা
দিয়ে দেখেছিল তার মাকে শশ্মানে নিয়ে যেতে
চিৎকার করে কেঁদেছিল পরিস্থিতি তার মাকে
শেষ দেখা দেখতে দেয় নি সেই ছেলেটির মুখের অভিব্যক্তির কি রং হবে ?
আছে কি এমন কোনো রং কোনো শিল্পীর চোখে ?