রবীন্দ্র কাব্য হাতে নিয়ে বসে ছিলো যে ছেলেটি সারাদিন
শুধু মাত্র প্রেমিকাকে একটা দারুণ প্রেমের কবিতা উপহার দেবে বলে …সেই ছেলেটি বৃষ্টি উপেক্ষা করে পৌঁচ্ছাতে পারলো না তার প্রেমিকার কাছে !
মেঘের ওপর ভীষণ রাগ করল,
রাগ করল রোমান্টিক ঋতু বর্ষার ওপরও !
কিন্তু তার প্রেমিকা ভিজে ছিল চুবচুবে হয়ে
দাঁড়িয়েও ছিলো বহুক্ষণ প্রতিক্ষায় তার
প্রতিক্ষার কথা চিরকুটে লিখে প্রেমিকা পাঠিয়ে ছিল তার কাছে
সে আপসোস এখনো জীবন্ত ৷
বৈশাখে আবারও একদিন সারাবেলা ধরে
রবিঠাকুরের গীতবিতান ওলোট পালোট করেছিল ছেলেটি
তার প্রেমিকাকে একটা নুতুন বছরে সুন্দর গান শোনাবে ভেবে
বিকেলে তুমুল ঝড় উঠল
ভেঙে গেলো গাছপালা
মাটির দেওয়াল দেওয়া ঘর
ঝড় উপেক্ষা করে এবারও পৌঁছাতে পারল না ছেলেটি
তার প্রেমিকার কাছে ৷
ঋতুর দোষ ধরল, ধরল ঝড়ের দোষও
তবে প্রেমিকা দাঁড়িয়েছিল তার অপেক্ষায়
অরণ্যে বটের মতো ছাতা হয়ে
সেকথা শুনেছিল ছেলে অপরের মুখে
সে আপসোস বড় জীবন্ত এখনো !
খরা ভরা মন তার আজ
চারপাশ ফুটিফাঁটা মাটির মতন
এখন সে সারাবেলা রবিঠাকুরের বই
নিয়ে ব’সে ভাবে
…এমন দুর্বল মন নিয়ে প্রেমিকার
সাথে ভিজে গেলে যে অসুখ হতো
তাকে কি সারানো যেতো কোনোদিন!!
প্রেমিকা কি পেত তার মনের মতন প্রেমিক !
একথা ভেবে ছেলে মনে মনে ভাবে,
ভাগ্যিস!
প্রেমিকার অভিমান ছিল..ছিল ছেড়ে যাওয়ার এক অপার শক্তি!
নাহলে কি যে হতো !
একথা ভাবতেই গলা থেকে গান এলো …
“আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার, চরণ ধুলার প’রে”……॥