প্রেম মাহিনা চলছে দেখে ভাবছি লিখি দুই কলম,
মাটি ফুঁড়ে গিন্নি হঠাৎ হাজির হ’ন,দেখান গরম!
তিনটি কালের পিন্ডি চটকে,শেষকালেও নও সুখী?
পদ্য লেখো প্রেম পিরিতির! অকস্মাৎ হ’ন মারমুখী!
কোন সকালে কে যেন এক টা টা করে পালিয়ে যায়!
ভেবে ভেবে সেসব কথায় বুড়ো খাবি খাচ্ছে হায়!
দেখে আমার গা জ্বলে যায়! ওহে ও অন্তর্যামী-
শেষে কিনা জুটল আমার অনামুখো এই স্বামী?
ছড়া লেখো,পদ্য লেখো – তাতে কার কি যায় আসে?
এই বয়সে প্রেমের পদ্য? জানি তো সব লোক হাসে!
দেখতে কি পাও বছরভর ওই মানুষগুলো ফুটপাতে,
ন্যায্য আদায় কাড়তে আকুল রাণীর কাছে হাত পাতে?
মহার্ঘ্য সে ভাতার আশায় রাত কাটে রাস্তার ধারে,
মিললে ভাতা প্রতিমাসে মাইনে তাঁদের বেশ বাড়ে!
বুঝি না তো সেসব তোমার চোখকে কেন দেয় ফাঁকি?
প্রেম ছাড়া যে ওসব বিষয় আজও লেখার রয় বাকি!
ভাবো ভাবো অভ্যাসেতে রপ্ত রাখো সেই রসদ,
ঠুনকো প্রেমের কাব্য লেখো? অমন বিষয় না পসন্দ?
একদিনও কি পাও না সময়? কাঁদে না কি তোমার মন?
‘ দাঁড়াই পাশে বলো’- যাঁরা নিত্য করে আন্দোলন?
এমনকরে গোটা বছর ছুটে আসে প্রশ্নবাণ
চেষ্টা করি বাঁচতে সে তিরের থেকে কী আপ্রাণ!
জানি তিনি ঘরেই থাকেন কিন্তু খবর রাখেন সব!
বাইরে ঘোরা মানুষ আমি মাথামোটা কী আজব!
এত বছর ঘর করে তাঁর স্বভাব থাকে অজানা!
ছড়ার চোখে দিচ্ছি আলো,নিজেই ছিলাম ঘোর কানা!
শেষে ছড়া লিখে দেখাই,বলি– এবার চাইছি মাফ!
তোমার ভালোবাসায় পারলে ধুয়ে দিও আমার পাপ!
ওমা! একি! এগিয়ে আসেন জড়িয়ে নিয়ে নিজের শাল!
কিসের শব্দে লাজে রাঙা হয়ে ওঠে আমার গাল!
গদগদ হয়ে লাফাই! হঠাৎ দেখি কী গেরো!
বলেন- তোফা লেখার জন্য! এবার তুমি পাশ ফেরো!