অনমনীয় ভঙ্গিতে বলি, বাঁধবো তোমায়
শক্ত রশিতে, পালাও কী ভাবে দেখি!
দূর আকাশে ফুটে থাকা চাঁদখানি
বোধকরি মুখটিপে হাসছিলো!
তারাগুলো জ্বলে নিভে গেলো একবার…
অন্ধকার শুনলো টুপটাপ পাতাঝরা শব্দ!
তাই কখনো হয়! দিকচক্রবালে
রশি যে খুলে চলে অনিবার অনিবার…
এক এক করে কতবার শতবার!
তবু জীবনমুখী গান গেয়ে যায় নীলরঙা পাখি
মাছরাঙা হবে বুঝি!
দীঘির জলে ঠোঁট চুবিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষা…
অনন্তকে ছুঁতে পারার এক অসীম অপেক্ষা!
বেঁধে নয়, ছেড়ে ছেড়ে ক্রমাগত পথচলা
অনির্দিষ্ট গন্তব্যফেরীতে…
কতদিন কতবার আর ফেরা হয় না! থেকে যায়
অবিরাম অবিকল স্মৃতিটুকু…
একে একে মনে পড়ে হারিয়ে যাওয়া মুখগুলি
যারা অনন্ত ছুঁয়েছে…