ঠাসাঠাসি ভিড় জমে
শিয়ালদা, হাওড়ায়,
অফিসের টাইমে
ট্রেনের ঐ কামরায়।
নিত্যযাত্রী তাই
সিগন্যাল না দেখেই
রেললাইন পার হই
প্রতিদিন এভাবেই।
জীবনের মায়া ছেড়ে
চলন্ত ট্রেনে উঠি,
লেটখানি বাঁচাতেই
এমনটা হুটোপুটি।
মরি বাচি ছুটে চলি
ঘর ফেরা যাত্রী
বারো মাস এভাবেই
দিন কি বা রাত্রি।
কার আগে কে ছোটে
জায়গাটা ধরতে
যেন কোন জমি,বাড়ি
দখল টা করতে।
আঁচলের পিন ছেঁড়ে,
পা ছেড়ে জুতো যায়,
কারো লাগে ধাক্কা,
কেউ বা গুতো খায়।
ভ্রুরুর ওই মাঝ থেকে
টিপ খানি সরে যায়
কারো পায়ে টান লেগে
ওড়নাটা পড়ে যায় ।
দাদার ঐ শার্ট খোলা
বোতামটা মাটিতে।
কেউ বা গালি শোনে,
কেউ সোজা চাটিতে
কারো পা পিষে গেলে ,
আর যদি গুতো খায়,
ভিড় দেখে দরজায়
হাতাহাতি লেগে যায়।
তারই মাঝে সুযোগটা
কেউ বেশ তুলছে
মেয়েদের ছোঁয়া পেয়ে
খানিকটা ফুলছে।
মুটেদের ঝাঁকা থেকে
মাথাখানি বাঁচিয়ে
রাস্তাটা করি নিই
খানিকটা চেঁচিয়ে।
গরমেতে প্যাচ প্যাচ
ঘাম,দুর্গন্ধ!
হকারের চেনা গলা
যেন কোনো ছন্দ।
গরমে যে ভিড় বাড়ে
কামরার গেটটায়,
শীত বা বর্ষায়
সকলেই সিট চায়।
বেশ গাল গল্পে
খানিকটা আড্ডায়,
ট্রেনের ঐ যাতায়াতে
সময়টা কেটে যায়।
কামরাটা একই থাকে ,
একই সহযাত্রী।
দিনে দিনে গড়ে ওঠে
ভালোবাসা, মৈত্রী।
ক্ষয়ক্ষতির সামলে
ফিরে আসি ঘরেতে
মাথা নয় ধান জমি
এলোমেলো ঝড়েতে।।