শিউলির সুবাস জড়ানো শরতের আঙিনায়
মনে আছে, কাশের বনের সামিনায়
সেই লুকোচুরি খেলা।
রুমালের কোনায় তোমার নাম
সযত্নে সূঁচের সুতোয় আঁকা
কিছু টা ছড়ানো রজনীগন্ধার সুবাস
মনে আছে, সেই চেনা আলপথ
যেখানে ইচ্ছেরা ব্যস্ত জলকেলিতে।
ঢাকের বাদ্যির তালে, হৃদপিন্ডের স্পন্দন
প্রথম প্রেমের অন্বেষণে
আকুল আবেদন
মনে আছে, অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি
একটু প্রেমের স্পর্শে
মন্ত্রাচারণে।
চোখে চোখ রেখে
মনের কথার আদান প্রদান
মনে আছে, পাশাপাশি বসে
এক পঙক্তিতে ভোজন।
সেদিন শরত বেলায়
নীলাম্বরী আঁচল উড়িয়ে
রংমিলান্তি খেলায় মেতে
মনে আছে,গোল বৈঠকে অন্তাক্ষরী
নবমীর সন্ধ্যায় ধুনুচি নাচের আসর
শঙ্খ ধ্বনিতে বাজিয়ে কাঁসর।
সান্ধ্য জলসায় তোমার উদাত্ত কণ্ঠে
জীবনানন্দ
মনে আছে, আমি হয়েছিলাম
বনলতা, ছিল না কোন দ্বন্দ্ব,
আমার প্রেম পর্যায়ের রবীন্দ্রনাথের গানে
ভাসিয়ে তরী,
কেটে ছিল নবমীর রাত।
স্মৃতির পিছুটানে
ও গো ক্ষণিকের অতিথি
মনে আছে, কি সেই সব দিন ?
রজনীগন্ধার সুবাস পাও কি এখনো
সময়ের স্রোতে বিবর্ণ হয়েছে কি কখনো?
মনে আছে,শরত বেলার অকাল বোধন?
না, মনের বিলাপে ব্যর্থ আমার স্মৃতিচারণ
উদাস বাউল গান গেয়ে যায় আজও মেঠো পথে,
যেখানে প্রেমের কবিতা লেখা
জীবনের সংকলনে।
মনে আছে, তোমার প্রতিশ্রুতির সেই পলাশ বন্ধন
ঢাকের বলে ,প্রতিমা নিরঞ্জন
সপ্পর্ক টা আজ সমান্তরাল পথে
দূরত্ব বজায় রেখে
দূরভাষের যন্ত্রেতে।।