দিক রাঙিয়ে এলে তুমি
এ কোন্ বঁধুবেশে!
“রাই জাগো রাই জাগো” বলে
আলতো ছোঁয়া কেশে,
ফাগ-ফাগুয়া শিমুল পলাশ
বসন্ত বাহার
উদাস দুপুর কোকিল-কুহু
জাগালো কোন্ তান!
মঞ্জরিত আম্রমুকুল
কৃষ্ণচূড়ার ডাক
কে যাবি আয় আমার সাথে
উড়িয়ে দিতে ফাগ।
দখিনা বাতাস মধুর পরশ
আকাশধোয়া আলো
উড়িয়ে ধুলো পথের বাঁকে
সে কোন্ বঁধু এলো!
কল্পনার ওই পেখম মেলা
আকাশগাঙে নাও
মন-মাঝিরে চল্ চলে যাই
নিরুদ্দেশে ধাও।
পরাণ-সখা বন্ধু আমার
নীল যমুনার জল
ছলাৎ ছলাৎ বুকের মধ্যে
বংশীধ্বনি রব।
বঁধু আমার প্রিয় আমার
তুলসী প্রদীপ আলো
এমনি করেই মাঝে মাঝে
পরশ তোমার দিও।।