প্রগলভা ঝরনা, মেঘবর্ণা,
চাঁদের আভায় জন্ম বলে,
নাম রাখলো পূর্ণিমা।
কালো মেয়ের রূপ কি আবার?
হৃদয়টা কেউ দেখেনা তার।
মরেছি শরমে করেছি নিজেরে আড়াল।
জীবনের স্রোতে সাঁঝতারা দেখে তুলেছি
ছেঁড়া পাল…
অশান্ত ঢেউ ভেঙে বিপদের মুখোমুখি হয়েছি
কতই না সয়েছি অপমান।
মেঘের আড়াল সরিয়ে নিজেকে,
নিজে একদিন ভালো করে খুঁজেছি।
অধিকার কখনো পাইনি, নিজেকে গড়তে ... কারও কাছে হাত পেতে চাইনি।
কালোতে আলো পেয়ে আজ হয়েছি সফল,
তোমরা লহরে ভাস, আমার আছে এক বুনিয়াদী তল …
নতুন রূপে হয়েছি অভিভূত।
আজ আমি উন্মুক্ত, উদ্ভাসিত,
শুধু কালো বলেই মুখ ফিরিয়ে নিও না জীবন থেকে।
প্রেম মরুভূমির মরীচিকা,
দূর হতে শুধু সুন্দর লাগে কাছে হয় সমাপিকা।
ইচ্ছে করে রাতের তারাদের আমি গল্প শোনাই।
ভালোবাসার ছলনায় খোঁজে শরীর,
পিপাসিত স্যাঁতস্যাঁতে কালোছায়া।
একদিন কি এমন কেউ আসবে জীবনে?
আসবেই !
যারা ভালোবাসতে জানে
নয় তো আমিই যাবো……।
লাগবে ভালো তুলবে পর্দা কালো,
মোছাবে সে আঁখিজল বাসবে ভালো।
ডাগর চোখের ওই মিষ্টি হাসি
ঠোঁটের ছোঁয়া পাবি!
হৃদয়ের সীমান্ত অবধি।
কখনো ঠিক কারো আপন হবি!
সাদা-কালো বর্ণতে কি সুখের তফাৎ?
অন্তরের প্রান্তে,কুশের অঙ্কুরে,
ক্ষুদ্র দৃষ্টিতে অগোচরে।
সেই খানেতেই মিলবে স্বর্গসুখ,
হবে পূর্ণতায় কৃতার্থ জীবন।।