হ্যাঁ গ খুড়া! চলল্যে কুথায়
হগবগায়্যে বিহান বেলায়-
কি হবে গ মঞ্চ টাত্যে!
ঝালর ঝুলুর কাপড় ঝুল্যায়।।
মেইয়া গুলান আইসছে দেখো
কেমন উদের সাজের বহর!
বাবুরা সব চোঙা হাতে
দিবেক কুছু জবর খবর।।
ছ্যালা বুঢ়া মিয়া মরদ
মঞ্চ ঠিনে জড় হঁইয়ে-
ফটক টাতে দিছে মালা
এক এক কইরে উপরে যায়্যে।।
হুই যে উটা কার ফটক গো
গলায় মালা প্রদীপ জ্বালা-
কুথায় উদের বামুনঠাকুর
আইনব্যে কুখন ভগের থালা?
খুড়া :
ফটক টা কে চিনতে লাইরছিস
তুকে কি আর বইলব গাধা-
হেই মানুষকে নাই জানে তুই
কাটাই দিলি জীবন আধা।।
জনম দিন আজ রবি কবির
জানিস নাই তুই ই কথাটা-
বৈশাখ মাসের পঁচিশ তারিখ
সারা পৃথবী জানে ওটা।।
মস্ত বড় লক উনি হে
সবকাই তাঁকে ঠাকুর ডাকে-
লিখা পড়া শিখলি নাই বাপ
কেমনে জাইনবি মানুষ টা কে।।
গান থেটার নাটক নভেল
ই সব গুলান উনার লিখা-
জীবন টা তোর ফুঁরাইন যাবেক
শেষ হবেক নাই তবু শিখা।।
ছেলে :
শুনো খুড়া!শুইনলি অনেক
গান কবিতা নাটক থেটার-
শুনে ইগুলান হবে টা কি!
ভুখা প্যাটের জুটবে খাবার?
বাজনা বাজা জানো তোমরা!
শুইনেছো স্যেই বাজনটাকে-
ভুখা প্যাটের ডুগডুগি টা
কেমন কইরে বাজতে থাকে!
শুন নাইগো সে বাজনটা
তাই তো এ সব লিয়ে ভাবো-
রুখা সুখা প্যাটের গাঢ়হায়
দু মুঠা ভাত কেমনে দিবো!
প্যাটের গাঢ়হা ভইরল্যে তবে
ইসব কুছু মনে জাগ্যে-
ছট্ পটাল্যে খিদার জ্বালায়
গান কবিতা আপনি ভাগ্যে।।
গান কবিতা আইসবে নাই গো
প্যাটের জ্বালা বড় জ্বালা-
সারাটা দিন এত খাটেও
সাঁঝে জুটে ফুটা থালা।
তুমরা কর রবির পূজা
গান কবিতা সাঁজায় লিয়ে-
আমরা করি প্যাটের পূজা
জীবনটা কে বিঁতায় দিয়ে ।।