বাপের ঘরে আসবি বলে
মা তোর কী হাসি!
রক্ত মাংসের দুর্গা আমার
কাঁদে দিবা নিশি।
ওই শোন আমার দুর্গার
চাপা আর্তনাদ!
পরে পরে খাচ্ছে মার
নেই প্রতিবাদ!
খাচ্ছে মার গড়াচ্ছে রক্ত
জীবন যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ
দেখছে শিশু বাবার অত্যাচার
ভয়ে ভীত আড়ষ্ট!
খাচ্ছে মার দাঁড়াচ্ছে আবার
সন্তানের মুখ চেয়ে
কুটনো কুটে ভাত বেড়ে
দিচ্ছে সেই মেয়ে।
স্বামী তার গন্যমান্য সমাজসেবী
রাতে ভয়ঙ্কর শয়তান
দিবা লোকে আর্তের সেবা
রাতে স্ত্রী নির্যাতন।
নিপুণ অভিনয়ে দক্ষ স্বামী
লোকের কাছে সুজন
ছল চাতুরীতে শকুনি মামা
জানে আর ক’জন?
উঠতে বসতে খোঁটা দেয়
বাপের বাড়ি নিয়ে
গালমন্দ করেই চলে
ছুতো নাতা নিয়ে।
শাশুড়ি বলে ননদ বলে
মানিয়ে নিয়ে চল
না পারিস যদি বাবা মাকে
নিয়ে যেতে বল।
আমার দুর্গার বাপের বাড়ি
অতি বড় দীন
বিয়ের দেনা মেটেনি এখনো
রয়ে গেছে ঋণ।
আমার দুর্গা ভাবে বসে
কোথায় পাই ঠাঁই
পেটের দুটোকে নিয়ে এখন
কোথায় আর যাই!
আমার দুর্গা একটু আশ্রয়ে
কত কিছু সয়
লাথি ঝেঁটা খেয়েও স্বামীর
পা ধরে রয়!
স্বামী বলে রেজিস্ট্রি নেই
পাবে নাকো খোরপোষ
আমার কাছে থাকতে হলে
থাকবি হয়ে পাপোস।
আমার দুর্গারা লাঞ্ছিত আজ
সাহস দে মা মনে
অসুর রুপী বরেদের যেন
নিধন করে রণে।
বল মাগো তুই জাগরে এবার
হয়ে লক্ষীবাঈ ঝাঁসি!
তবেই না হয় হাসিস মাগো
বিজয়িনীর হাসি !!