কি এক অদ্ভুত নেশা
জীবনটা ছুটে চলেছে বল্গা হরিণের মতো।
যতই আসুক বাধা পাশ কাটিয়ে শুধু এগিয়ে চলা।
স্বাভাবিক হাওয়া গায়ে মাখা তো অভ্যাস হয়ে গেছে।
টলে চলা ষোলকলা পূর্ণ জীবনখানা যেন ভালোবাসার পাড়ায় যন্ত্রণা নিতে শশব্যস্ত।
এমন বিশুদ্ধ ক্রীতদাস বুঝি এ জমানায় পাওয়া যায় না।
উপায় নেই জানেন একটু ও উপায় নেই
কুলীন, তোমার গোত্রান্তর করে আমার পিতৃজীবন ধন্য
ওটাই তোমার একান্ত আস্তানা
কি যেন এক ঘোর, কি যেন আবেশ,
আমার শরীরের অলিন্দ, নিলয়, ধমনি শিরা এখন অন্যের কেনা এক চুটকি সিঁদুরে,
আমার মতো এটা চাই, ওটা চাই, বড়লোকের বেটি তুমি? জীবনে পাকা বাড়িতে থেকেছ? ফ্যানের হাওয়া খেয়েছ? থাকতে তো সেই বাঁশবাগানের গায়ে মাটির কুঁড়েতে?
জানেন তো ঐ যে মাটির কুঁড়েটা নিয়ে আজও খোঁটা খেতে হয় আমাকে, ওখানে না সত্যি বলছি একটা প্রাণ ছিল, ভালোবাসা আশেপাশে জড়িতে থাকতো আমাকে ঘিরে।
আর বিশুদ্ধ সেই হাত পাখার তৃপ্ততা খুঁজে পাই না আর।
এখন কবিতা আমার মনে ঝড় তোলে।
হিসাব চায়, বয়স একটা সংখ্যা হলেও সুইজ অফ হবার আর বেশি দেরী নেই।
হিসেব দাও হিসেব? কি পেলে?কত টা খুশী তুমি?
অতিরিক্ত অত্যাচার,অনাচার,পুথিগত শিক্ষা, অবিচার আর বেকারত্বে ছেয়ে ফেলেছ নিজের জীবনের অস্তিত্ব।
সত্যই কি তুমি ক্রীতদাস?
কেনো মনে বেঁধে এমন প্রশ্ন বাণ?
ভাবের ঘরের দরজা খুলে কি নতুন বছরের নতুন সূর্য আসবে আমার জীবনে ?