কবিতার জন্য পায়ে হেঁটে করব অযুতবর্ষ পার,
কবিতা তুমি আমার হৃদয়ের, শুধুই তুমি আমার।
তুমি আমার ভোরের পাখির ঘুম ভাঙানো গান,
তোমার জন্য সূর্যোদয়ের শুদ্ধ কিরণে করি স্নান।
তোমার জন্য রাতের স্বপ্নে হাজার আঁকিবুকি,
তোমার সাথে সঙ্গোপনে প্রেমের অছিলায় টুকি।
পথ চলতে ভাবনা যেন রঙিন হয়ে বলে,
তোমার কবিতায় আসন পেতে শব্দরা দলে দলে।
কবিতার জন্য হাজারো শব্দের ভীড় জমে নদী তীরে,
কুড়িয়ে নিয়ে আঁচলে বেঁধে আমি যে সুখের নীড়ে।
তোমার জন্য প্রতিদিন চলে শব্দের খোঁজাখুঁজি,
তুমি যে বন্ধু একান্তে আমার অস্তরাগের পুঁজি।
তোমার জন্য কলমে আসে প্রতিবাদের সেই ভাষা,
অকাল মৃত্যুর অত্যাচারে দেখি নতুন দিগন্তে আশা।
হাতরস আর কামদুনি নিয়ে চিৎকার হবার পরে,
মণিপুরের মেয়ের বাঁচার আর্তিতে অশ্রু দুচোখে ঝরে।
কবিতাই পারে সরব হতে এই দুনিয়ার পরে,
তোমার জন্য স্বপ্ন দেখা প্রতিটি দিনের তরে।
ভোরের শিশিরে শরৎ যেমন কাশের দোলায় দুলে,
আগমনীর গান গলায় গেয়ে যাই সব দুঃখ ভুলে।
কবিতা তুমি লাল হৃদয়ের অনেকখানি জুড়ে,
তোমায় নিয়ে কল্পনা আজ জীবনের প্রতি সুরে।
ভেসে চলে যাই নীল দিগন্তের পেরিয়ে সীমা রেখা,
কখনো যদি পাই তোমায় সশরীরে একবার দেখা।
খুঁজে চলি তোমার অস্তিত্ব বারবার বর্ণ,শব্দের মাঝে,
সকাল থেকে মনপ্রাণ ঢেলে লাল গোধূলির সাঁঝে।
দিনের আলোয় সবুজ চোখে কবিতা তোমার জন্য,
রাতের আকাশে আঁধারের মাঝে তারাদের নিয়ে ধন্য।
কথা বলি যখন ওদের সাথে ওরাও ব্যাকুল হয়ে,
চেয়ে রয় যেন আমার মুখে অসহায় ব্যথা লয়ে।
ভরসা যুগিয়ে কবিতা শোনাই ওদের গল্প গাঁথা,
জীবনটা তো রঙিন সুতোর বানানো নকশীকাঁথা।
এর মাঝে তাই জড়িয়ে ধরেছি কবিতার অবয়ব,
দুচোখ মেলে নীল আকাশে খুঁজে পেতে চাই সব।
বাঁচার মন্ত্র, বাঁচার জন্য রাখি তোমার হাতে হাত,
তোমাকে নিয়েই অবসর যাপন দিন থেকে সেই রাত।