পূজা ভক্তি এসব আমার
মোটেই ছিল না ছোটবেলায়,
সারাটা দিন পড়ায় ফাঁকি
শুধু দুষ্টুমি খেলা আর খেলায়।
কেমন যেন ছিলাম আমি
উপোস অঞ্জলি ভক্তি,
শুনলে পরেই মাথার ভেতর
দিতাম উল্টোপাল্টা যুক্তি।
একগুঁয়ে ছিলাম আমি
কিসের ঠাকুর, কে মা?
জন্ম-মৃত্যু আছে যাদের
তাদের করবো সাধনা!
টাকা মাটি মাটি টাকা
এসব আবার কী,
আকার নিরাকার উভয় আছে
এ আবার হয় নাকি?
হঠাৎ একদিন আদ্যা পিঠে
বাড়ির চাপে গিয়ে,
দেখেছি মা তোমায় আমি
বসে নাট মন্দিরে।
মন্দিরের ওই আরতি বেলায়
ভক্তের সমাগম,
তোমার রাতুল চরণ দেখে আমি
স্তম্ভিত একদম৷
কী বাধনে বাঁধলি রে মা
কেমন তোমার মায়া,
তুমি অন্নপূর্ণা মাগো
ও মা তুমিই যোগমায়া।
দীক্ষা যেদিন নিতে গেলাম
গুরুদেবের কাছে,
আনন্দেতে বক্ষ আমার
চোখের জলে ভাসে।
আমার মত পাপী তাপী
গুরু মন্ত্র নিলাম,
হয়তো পূর্ব জনমে কোনো
ভালো কাজ করেছিলাম।
তোমার বই পত্র পড়িনি বেশি
আমি মন্ত্র তন্ত্র জানিনা,
মা বলে ডাকি একটুই বুঝি
তুমি সাড়া না দিয়ে পারো না।
রামকৃষ্ণ কথামৃত
শতরূপে সারদা,
ঠাকুর আমার কল্পতরু
সঙ্গে আমার সদা।
আমি ভজি রামকৃষ্ণ নাম
গুরু নাম ভজি,
মা তোমার রাতুল চরণ ছুঁয়ে
আনন্দেতেই মজি ।।