বিপন্ন ছায়া চাঁদের সবটুকু কলঙ্ক মেখে বসে আছে পাশে ,
আমি তখনও নিঃশব্দের বুকে কান পেতে আছি !
হাতের আঙ্গুল গলে ফুরিয়ে যাচ্ছে রাত্রি …
এই নক্ষত্রের আলো মাখা কত মুহুর্ত গিলে ফেলেছে নতুন পৃথিবী ।
আমি বোধহয় এখন ঘুমের মধ্যে স্বপ্নের মধ্যে ছোট্ট ঘরে বন্ধ হয়ে আছি ,
বহুদিন হল পেঁচার ডাক শুনিনি …
বহুদিন হল এ ঠোঁটে শিশির ঝরেনি …
বহুদিন হল আমার পা দূর্বার আদর পায়নি …
কেউ কি আছো বৃদ্ধ গাছের মত কিছু ? যাকে আরও একবার জাপটে ধরতে পারি ।
কেউ কি আছো আদিম সেই গভীর বাড়ন্ত শিকড় ?
এসো মাটির কোমলতা নিয়ে আরও একবার জড়িয়ে ধরি ।
ঘুমন্ত সভ্যতার বুক থেকে গন্ধ ভেসে আসে … ওই দূরের কাশবন এখন বোবা ল্যাম্পপোস্ট একলা পিচের রাস্তা !
এই নগর পেরিয়ে যাবো আমি দূরে আরও দূরে ওই মরা নদীর শেষ প্রান্তে ,
কেউ কি আছো ইশ্বরের মত কিছু ?
দেখো এই ক্ষত আমার নয় …
এই কালো ছায়া আমার নয় …
সব অন্ধকার নিয়ে দেখো
আমার দুচোখে শুধু রাতজাগা নক্ষত্রের আলো দেখতে পাবে ।।