জ্বলছে,
সমস্ত পৃথিবীটা জ্বলছে।
জ্বলছে সূর্য দেবের রোষে
জ্বলছে হিংসার দোষে।।
যে মানুষটা দিন আনে দিন খায়
যে মানুষটা লোকের বাড়িতে কাজ করে দিন গুজরায়
যে মানুষটা ঠেলা চালায়
রোদে পুড়ে রিক্সা চালায়
যে মানুষটা একটা ছোট্ট
পান বিড়ির দোকানের গুমটিতে
বসে থাকে খদ্দেরের আশায়
যে মানুষটা ট্রেনে বাসে ভিড় ঠেলে
কয়েক কিলোমিটার দূরে চলেছ
পরিবারের অন্ন জোগানোর আশায়
যে মানুষটা হকারি করে রোজ
ট্রেনে বাসে পাড়ায়
যে মানুষটা বাইক, সাইকেল নিয়ে
দ্রুত বেগে পৌঁছে দেয় আধুনিক সমাজের সামগ্রী
তারা কি বোঝে এই জ্বলা?
জ্বলা মানে তো হিংসা-দ্বেষ
সময় কোথা তাদের কাছে
এই অনুভূতিতে ভাসার।
যাদের কাছে এক মুঠো অন্ন
এনে দেয় শীতল পরশ
তাদের কাছে জ্বলন অনুভূতি
বিলাসিতার অঙ্গ মাত্র।।
এই অনুভূতি তো তাদের জন্য
যারা ঝাঁ চকচকে মোহময় বিল্ডিং এর
হিমশীতল ঘরে বসে মুঠো ফোনের স্ক্রিনে
দুনিয়া দেখার প্রচেষ্টায় রত
তারা জ্বলছে সর্বত্র।
জ্বলছে হিংসা নামক অনুভূতিতে
জ্বলছে সূর্য নামক প্রাকৃতিক রোষে
না পারার আক্ষেপে জ্বলছে
জ্বলছে অন্যের ভালো হওয়ার আবেশে।
কী আর করা যাবে?
সবই প্রাকৃতিক বিপর্যয়
যতক্ষন ধরিত্রী সইতে পারবে
ধারণ করবে
ধারণ ক্ষমতা হারালে
ডাইনোসরীয় যুগের মত
নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
পৃথিবী যে শান্ত হওয়ার অপেক্ষায় অপেক্ষমান।।