জৈষ্ঠ্যের দাবদহের মাঝে জামাইষষ্ঠীর আদর
সাবেকী রীতিতে ধুতি পরে জামাইয়ের সমাদর।
তত্ত্ব নিয়ে জামাই রাজা মিষ্টির ভাড় সাথে
বাড়ী শুদ্ধ লোক যেন খুশির হাওয়ায় মাতে।
প্রথমবার আসছে জামাই অনেক রীতিনীতি
শালা-শালি সব বেজায় খুশিতে করছে নৃত্যগীতি।
তটস্থ সব হয়ে আছে না হয় সেবায় ত্রুটি,
জামাইয়ের যেন ভুলেও কুঞ্চিত না হয় ভ্রুকুটি।
পাতা আসনে জামাই এবার বসবে কিন্তু খেতে
ধুতির কোছা গুছিয়ে জামাই আনন্দেতে মেতে।
ঠটি, বটি, ভাজা, লাবড়া, সুক্ত পড়বে প্রথম পাতে
মাছের পিসের বড় ভাজা কিন্তু পড়বে গরম ভাতে।
মাংস, কালিয়া, পোলাও, বিরিয়ানি আছে যে বাকি,
ভুঁড়ি নিয়ে নতুন জামাই শেষে লজ্জায় মুখ ঢাকি।
মিষ্টি, মন্ডা, মিঠাই সন্দেশে পেট জামাইয়ের ভার
হাঁপিয়ে জামাই জিগেস করে কিছু কি আছে আর?
এরপর তো ফলাহারের আম, জাম, কাঁঠাল, কলা
ভুলেই গেছি বাছাধন এগুলো হয়নি তোমাকে বলা।
জামাই ভাবছে এই যদি জামাইষষ্ঠীর খাবার হাল
অচিরেই ধরাশায়ী হবে আমার অবস্থা বেসামাল।
বরণডালা নিয়ে শাশুড়ীর নতুন জামাই বরণ
ঘোমটা মাথায় আর্শীবাদে ছুঁতে দেয় না চরণ।
পরিস্থিতির চাপে পড়ে দূর থেকেই কর্ম সারে
বছর ঘুরে দিনটির তরে জামাই আদর বারেবারে।
শঙ্খ, উলুধ্বনিতে হয় জামাইয়ের জন্য আয়োজন
বাঙালিয়ানার শ্রেষ্ঠত্ব রক্ষায় ষষ্ঠীতে হয় আমন্ত্রণ।
অনুষ্ঠানের রীতি-নীতিতে এখনো সেই বনেদিয়ানা
যুগের সাথে তাল মিলিয়েও নিয়মে ষোল আনা।।