পথের ধারে প্রতীক্ষায় দীর্ঘ এলোকেশী
মনে কি পড়ে আমায়?
সেই দীর্ঘ অতীতে ছিলে ছোট অঙ্কুর
সিঞ্চন করেছিলাম তোমায়।
তুমি সেই চারা আজ মস্ত দীর্ঘকায়
কাঠফাটা রোদে সবাই যখন ক্লান্ত
তোমার পরশে হয় যে শান্ত!
তোমার দানে প্রাণ ভরা শ্বাস নিচ্ছি যে দিবারাত্র
ফুল, ফল, কাঠ, মধু, কতই যে তোমার দান
বৃষ্টি আসুক ঝেঁপে ঘুচুক রুক্ষ মহীরুহ।
তুমিই গুল্ম, তুমিই গহন অরণ্য, তুমিই দূর্বা ঘাস, তুমিই আদি অনন্ত
নেই তোমার ভাষা, নেই কোনো অহংকার
সেই জন্যই স্পর্ধা সবার তোমাকে নষ্ট করবার।
শূন্য হবে জলভান্ডার, ঠান্ডা বাতাসে জুড়াবে না প্রাণ,
ক্লান্ত পরিশ্রান্ত শরীরে পাবে না খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান
চতুর্দিকে খরা, তৃষ্ণায় ফাটবে বুক,
পাবে না কোনো সুখ, বুঝবে সেদিন কী ছিল ভুল।
উপলব্ধিতে অনুশোচনায় দগ্ধ হৃদয় আজ আবার তোমার ছায়ায়, জুড়াবে মোদের প্রাণ
মনুষ্যকূল নিজ হস্তে সিঞ্চন কর এক একটি প্রাণ।।